অগ্নিবীর নিয়োগে, গ্রাম আদালত থেকে যাচাইয়ের রিপোর্ট এবং প্রার্থীদের নথির তথ্যের মধ্যে পার্থক্য। সেনা রিক্রুটমেন্ট বোর্ড এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। চাকরিতে এসব ভুলের খেসারত প্রার্থীদের ভুগতে হতে পারে বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত তার জন্মতারিখ থেকে নাম ঠিকানা পর্যন্ত ভেরিফিকেশন রিপোর্টে ভুল করছেন। প্রার্থীদের দেওয়া নথি এবং পঞ্চায়েতের যাচাই-বাছাই রিপোর্টে পার্থক্য পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে আট জেলার পঞ্চায়েতদের কাছে আবেদন জারি করেছেন সেনা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পরিচালক। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতদের যাচাইয়ের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিৎ। অন্যথায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ গ্রহন হতে পারে। শুধু তাই নয়, ভুলের কারণে পঞ্চায়েতও আইনের আওতায় আসতে পারেন। অগ্নিবীর প্রার্থীর যাচাইকরণ পূর্ব চম্পারন জেলার আররাজ ব্লকের একটি গ্রাম আদালতের পঞ্চায়েত করেছেন। পঞ্চায়েত যাচাই-বাছাই রিপোর্টে প্রার্থীর মা ও বাবার জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি, ১৯৭৯ হিসেবে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে সন্দেহ করেছে সেনা রিক্রুটমেন্ট সেন্টার। প্রার্থীর কাগজপত্র মিলে গেলে যাচাইয়ে ত্রুটি স্পষ্ট হয়। এভাবে অনেক জায়গা থেকে পঞ্চায়েতের যাচাই-বাছাই রিপোর্টে অসঙ্গতি সামনে আসছে।
পরিচালক কর্নেল ববি জাসরোটিয়া বলেন, অগ্নিবীর নিয়োগে প্রার্থীদের যাচাইয়ের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ। এমতাবস্থায় যুবকদের ভবিষ্যৎ দেখে পঞ্চায়েত ভেরিফিকেশন রিপোর্টের প্রতিটি পয়েন্টকে গুরুত্ব সহকারে দেখুন। প্রার্থীর নথি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার পরেই যাচাইকরণ রিপোর্ট প্রস্তুত করুন। অন্যথায় ভুল রিপোর্টের কারণে যুবকদের ভবিষ্যত হুমকির মুখে পড়তে পারে। সেনা নিয়োগ কেন্দ্রের সাথে যুক্ত মুজাফফরপুর, সমষ্টিপুর, দরভাঙ্গা, মধুবনি, সীতামারহি, শিবহার, পূর্ব ও পশ্চিম চম্পারন জেলার ৫৯২ জন প্রার্থীকে অবশেষে অগ্নিবীরের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এখন তাদের ভেরিফিকেশনের ভিত্তিতে জয়েনিং লেটার দেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment