উত্তরাখণ্ডে ফের বিপদের মেঘ। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুষারধস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চামোলি, পিথোরাগড়, রুদ্র প্রয়াগ এবং উত্তর কাশী জেলায় এই সংকটের আশঙ্কা। ডিজিআরই চণ্ডীগড় এই বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে। এর পর উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ সতর্ক মোডে এসেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ডিজিআরই-এর সতর্কতায় বলা হয়েছে যে চারটি জেলায়, ৩০০০ মিটারের উপরে এলাকায় হালকা শ্রেনীর তুষারধস হতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবার ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে মাত্র তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি মাসের জন্য, রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে মাসিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে থাকবে। একইভাবে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির লক্ষণ নেই। সে কারণে সব জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। যদিও সমতল ভূমিতে কুয়াশা থাকতে পারে, বিশেষ করে উধম সিং নগর এবং হরিদ্বারে। ডিজিআরআই চণ্ডীগড় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে। এ সময় তিনি একটি নির্দিষ্ট এলাকায় তুষারধস ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করেন।
উত্তরাখণ্ডে আবহাওয়ার ধরণ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রার গ্রাফ এখন উঠতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ডুনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২৬.৮ ডিগ্রি বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। যেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেড়ে নয়-এ পৌঁছায়। আগামী কয়েকদিনের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী দিনে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। তবে সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশার কারণে শীতের প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। অথচ দিনের বেলায় সূর্য উঠলেই তাপ অনুভূত হচ্ছে।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে ব্যাপক ভূমিধস লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে শতাধিক বাড়িতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে, আবার প্রায় একই সংখ্যক বাড়িতে হালকা ফাটল দেখা গেছে। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরাখণ্ড সরকার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে অস্থায়ী শিবিরে পুনর্বাসন করেছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চলছে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ভাঙার কাজ।
No comments:
Post a Comment