আপনি প্রায়ই চারপাশে শুনে থাকবেন যে কোনো শিশু হঠাৎ অলস বা অসুস্থ হয়ে পড়লে মা বা বাড়ির বয়স্ক মহিলারা তার দিকে নজর রাখেন। অনেকে কুদৃষ্টিকে কুসংস্কার বলে মনে করেন। অন্যদিকে, জ্যোতিষীরা বলছেন, আমরা বিশ্বাস করি বা না করি, কিন্তু এই পৃথিবীতে সব কিছুই বিদ্যমান। তার মধ্যে একটি হল নেতিবাচক শক্তি, যাকে আমরা নজর বলি। কারো কুদৃষ্টি যদি শিশুদের ওপর পড়ে তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে। এই ৪ টি নিশ্চিত প্রতিকার সম্পর্কে বলব, যা আপনার সন্তানের অন্ধ হলে আপনি চেষ্টা করতে পারেন।
বদ নজর দূর করার প্রতিকার
গলায় কালো সুতো বাঁধুন
শিশুকে খারাপ নজর থেকে রক্ষা করতে তার গলায় কালো সুতো বাঁধতে হবে। কালো রঙের থ্রেড নেতিবাচক শক্তির প্রতিবন্ধক হিসাবে কাজ করে এবং শিশুকে যে কোনও সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আপনি চাইলে শিশুর হাতে কালো সুতোও বেঁধে দিতে পারেন। উভয় ক্ষেত্রেই প্রভাব সমান।
কপালে কালো দাগ লাগান
নেতিবাচক শক্তি এড়াতে শিশুর কপালের বাম দিকে কালো টিকা লাগানো শুভ। এই টিকা একটি মটর আকারের সমান হওয়া উচিৎ । শিশুর চোখেও কাজল লাগাতে পারেন। এটি শিশুকে খারাপ নজর থেকে রক্ষা করতেও সাহায্য করে।
কর্পূর দিয়ে প্রতিকার
শিশু হঠাৎ অলস হয়ে পড়লে তার কুদৃষ্টি দূর করতে থালায় একটি কর্পূর রাখুন এবং পুড়িয়ে দিন। এরপর শিশুকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ৫ বার ঘোরান। প্রথমে প্লেটটিকে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে এবং তারপর সোজা দিকে ঘোরান এবং এটিকে একপাশে রাখুন। এরপর থালায় কর্পূরের কালো দাগের ওপর আঙুল রেখে শিশুর হাতে ও পায়ে লাগান।
লাল লঙ্কা
শিশুর কুদৃষ্টি থেকে মুক্তি পেতে , আপনার হাতে এক মুঠো লাল লঙ্কা নিন এবং শিশুকে ঘড়ির কাঁটার দিকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ৫ বার ঘোরান। এরপর ওই লঙ্কাগুলো চুলায় বা গ্যাসে জ্বাল দিতে ছেড়ে দিন। সেই লঙ্কাগুলো যখন তীব্র গন্ধে পুড়ে যায়, তখন মনে করা হয় এখন শিশুর কাছ থেকে দুষ্ট দৃষ্টি চলে গেছে। এতে শিশুর মন্দতা এড়ানো যায়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment