গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা এবং দেশের মুসলমানদের অবস্থা নিয়ে বিবিসির ডকুমেন্টারিতে নিষেধাজ্ঞার মামলায় নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছে আদালত। তথ্যপ্রযুক্তি বিধিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে, যার অধীনে তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদালত পিটিশনকারীদের কাছে জানতে চান, তারা প্রথমে হাইকোর্টে যাননি কেন? কেন্দ্রীয় সরকার ডকুমেন্টারিটিকে 'প্রপাগান্ডা' বলে অভিহিত করেছে এবং ইউটিউব সহ সমস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে এটি নিষিদ্ধ করেছে।
আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতকে বলেছিলেন যে জরুরী ক্ষমতা ব্যবহার করে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল এবং স্থগিতাদেশও পাবলিক ডোমেনে ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসি ডকুমেন্টারিতে আইটি অ্যাক্টের ৬৯এ ধারার অধীনে সরকার সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ক্ষেত্রে সাংবাদিক এন রাম, তৃণমূল নেতা মহুয়া মৈত্র, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং এমএল শর্মা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন। কেন্দ্রের জবাব দাখিল করার পর এপ্রিল মাসে এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশের আসল রেকর্ড উপস্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছে। বেঞ্চ বলেন, "আমরা নোটিশ দিচ্ছি। তিন সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দাখিল করতে হবে। দুই সপ্তাহ পর উত্তর দিতে হবে।"
বিবিসির ডকুমেন্টারিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞার সমর্থনে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনও দাখিল করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চও এই বিষয়ে শুনানি করে এবং আজ শুক্রবার বিষয়টি আবার তালিকাভুক্ত করা হয়। হিন্দু সেনার সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত এবং কৃষক বীরেন্দ্র কুমার সিং এই নিষেধাজ্ঞার সমর্থনে আবেদন করেছেন। আবেদনে বিবিসি ও এর কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্তেরও দাবী জানানো হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার সমর্থনে দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছে যে বিবিসি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে এবং নরেন্দ্র মোদীর উপর তথ্যচিত্রটি ভারতে এবং বিশ্বব্যাপী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্রমবর্ধমান মর্যাদার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের ফল। গত ৩০ জানুয়ারি মামলার শুনানির সময় আদালত জানিয়েছিল, সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।
No comments:
Post a Comment