মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে দুই তৃণমূল নেতার মৃত্যুর পর, জেলা পুলিশ সুপার নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর জায়গায় আইপিএস ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে নতুন পুলিশ সুপার করা হয়েছে। নগেন্দননাথ তিওয়ারিকে বেঙ্গল পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ওএসডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এর আগে সুন্দরবনের এসপি ছিলেন। আইপিএস কোটেশ্বরনাথ নালাওয়াথকে সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে বীরভূমে বোমা বিস্ফোরণে এক তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়। রবিবার এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে তৃণমূল নেতার ভাই লাল্টু শেখেরও মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার রাত থেকেই আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামের ধুলফেলা গ্রাম। মাড়গ্রাম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান লাল্টু শেখ, তাঁর বন্ধু নিউটন শেখ, ভুট্টো শেখের ভাই সুজাউদ্দিন, তিন তৃণমূল কর্মী বোমা মেরেছেন বলে অভিযোগ। বোমা হামলার পর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে ছিটকে পড়েন। পথে নিউটন শেখের মৃত্যু হয়। আহত লাল্টু শেখকে প্রথমে রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার বিকেলে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, লাল্টুর চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও পরপর তিনবার হার্ট অ্যাটাকের কারণে লাল্টুর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
তার ঠিক আগে রবিবার সকালে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। মাড়গ্রামের ঘটনায় মাওবাদীদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি। ফিরহাদ বলেন, “বাইরে থেকে লোকজন মাড়গ্রামে ষড়যন্ত্র করছে। বীরভূমের পাশেই রয়েছে ঝাড়খণ্ড। মাওবাদী আছে। পুলিশ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আমি বলতে পারব না কে এটা করেছে।” তিনি আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন। ফিরহাদ বিরোধীদের সতর্কও করেছেন যে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে বীরভূম দখল করা যাবে না। যদিও কংগ্রেস বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
No comments:
Post a Comment