গদ্দার সুমনকে ঝাঁটা পেটার হুঁশিয়ারি! জুতোর মালা পরিয়ে ধিক্কার মিছিল বিজেপির - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Monday 6 February 2023

গদ্দার সুমনকে ঝাঁটা পেটার হুঁশিয়ারি! জুতোর মালা পরিয়ে ধিক্কার মিছিল বিজেপির


তৃণমূলে যোগ দিতেই বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে পথে নামল বিজেপি। সোমবার আলিপুরদুয়ারের রাজপথে সুমন কাঞ্জিলালের নামে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। পাশাপাশি তার কুশপুতুলে জুতোর মালা পরিয়ে সেটি দাহ করা হয় কলেজহল্টের মোড়ে।  


আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, তৃণমূলের মত দুরনীতিগ্রস্থ দলে বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল যোগদান করেছেন। তার একটাই উদ্দেশ্য, নিজের পকেট ভরানো এবং দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখা। এই গদ্দার বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। আমাদের কার্য‌কর্তাদের সঙ্গে উনি বেইমানি করেছেন আর এর ফল ওনাকে আগামী দিনে ভুগতে হবে। 

 

তিনি বলেন, "এটা কার্যকর্তাদের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ। কারণ, কার্যকর্তারা রাত দিন পরিশ্রম করে ওনাকে জিতিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শুধুমাত্র টাকার লোভে, নিজের স্বার্থসিদ্ধি পূরণেরর জন্য তাঁদের সঙ্গে বেইমানি করে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তাই আজকে ভারতীয় জনতা পার্টি তাকে গদ্দার বলে চিহ্নিতকরণ করছি। এরকম গদ্দার মানুষ সমাজে বা আলিপুরদুয়ারের বুকে থাকা উচিৎ নয়।" 


তাঁর দলবদলে বিজেপির কোনও ভরাডুবি হবে না বলেও জানান বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, 'এতে বিজেপির কোনও ভরাডুবি হবে না। গদ্দার দলে থাকার থেকে না থাকা ভালো। আগামী দিনে তৃণমূল বুঝবে তিনি কতটা গদ্দার।'


তিনি বলেন, তাঁর কুশপুতুলের মধ্যে আজ জুতোর মালা পড়িয়েছেন, উনি আলিপুরদুয়ারে ঢুকুলে ওনাকে সশরীরে বিজেপির কার্য‌কর্তারা জুতোর মালা পড়িয়ে ছাড়বেন। উনি যেখানেই যান বিজেপির কার্য‌কর্তারা তাঁকে জুতোর মালা পরিয়ে, ঝাড়ু মেরে সেখান থেকে বিদায় করবে।" 


আমরা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে চলি। আমাদের পলিসি 'না খায়ুঙ্গা, না খানে দুঙ্গা',আমাদের সমাজের প্রতি যে ভাবনাচিন্তা নিয়ে চলি, এই ভাবনা নিয়ে চললে কেউ কখনই ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়বে না, সাফ বার্তা বিজেপি নেতার।


বিজেপি নেতা শঙ্কর  সিনহা (জেলার মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা) বলেন, বিজেপির প্রথম সারির    দশ-বিশ জন চলে গেলে বিজেপি আদর্শ বিচ্যুত হয় না, নিজের গতিতেই এগিয়ে চলে। আর সুমন কাঞ্জিলাল সম্পর্কে বলবো, ২০২০ সালে ওনার বিজেপিতে প্রবেশ। যার হাত ধরে রাজনীতিতে তার প্রবেশ হয়েছিল তিনি আগে গিয়েছেন, তিনি ধান্দাবাজ। আর সুমন কাঞ্জিলাল জেতার পরে, আরেক ধান্দাবাজ। এটা ঘোড়া কেনাবেচার মত। মন্ত্রিসভায় শিক্ষা দফতরটাই যেখানে জেলে সেখানে তৃণমূলের সংগঠন অস্তমিত। সেখানে তৃণমূলে যাওয়ার অর্থ পয়সার বিনিময়ে ছাড়া আর কিছু না। যারা আদর্শকে ভালোবাসে তারা বিজেপিতেই আছে। আর যারা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছে তারা তৃণমূলে গেছে', কটাক্ষ বিজেপি নেতার।  


সেইসঙ্গেই তিনি বলেন, "তৃণমূলকে আমি কোনও রাজনৈতিক দল বলে মনে করি না। এটি একটি কোম্পানি। এখানে অনেক ভ্যারাইটিস এজেন্সি আছে। একেক জন এক এক এজেন্সিতে কাজ করবে; কেউ বালি চুরির পয়সায়, কেউ কয়লা চুরির পয়সায়,কেউ গরু চুরির পয়সায়, কেউ কাটমানির পয়সায়। সবাই সেখানে টাকা  কামাতেই তৃণমূলে যায়।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad