লোহার আসবাব তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ। মৃত্যু দুই শ্রমিকের। শ্রীরামপুরের পিরাপুরের দিল্লী রোডে অবস্থিত একটি কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন। আহত চারজনকে শ্রীরামপুর ওয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, অন্যদিকে স্থানীয় বিধায়ক তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন প্রশ্ন তুলেছেন যে এই কাজটি আইনত হচ্ছে কিনা। আধিকারিকরা ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ওই কারখানায় স্ক্র্যাপ লোহা থেকে লোহা গলে যায়। শ্রমিকরা কাজ করছিল। হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হয়। এসময় সেখানে কর্মরত অধিকাংশ শ্রমিক গুরুতর আহত হন।
কারখানা সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনার পর কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার দাবী কারখানার শ্রমিকদের। এ ঘটনার পর কারখানার অফিস ভবনেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শ্রীরামপুর থানার পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসতে হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন। তিনি জানান, "লোহা কাটার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। দেখতে হবে কতটা বৈধ আর কতটা অবৈধ।" নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবী জানান কারখানার শ্রমিকরা।
কারখানার শ্রমিক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “এখানে অনেক ধরনের লোহার পণ্য আসে। লোহা বড় হলে গ্যাস কাটিং দিয়ে কেটে ফেলি।" এমন জিনিসও আছে, যেখানে গোলাবারুদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, সুপারভাইজার ভীম সিং আজ একই রকম কিছু কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ পাল বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রশাসনের লোকজন পালিয়ে যায়। তবে কারখানার ম্যানেজার কুণাল রায় বলেন, সকাল ১১টায় দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি। ইস্পাত উদ্ভিদ নমনীয় লোহা দিয়ে কাজ করে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, নিহতদের পরিবার ছাড়াও আহতরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। এই ঘটনায় চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, “ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুইজন মারা গেছে। এই ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।"
No comments:
Post a Comment