তিলোত্তমায় ফাঁস ‘ডার্টি ফিল্ম র্যাকেট’। সল্টলেকের এএল ব্লকের একটি গেস্ট হাউসের ম্যানেজারকে সেখান থেকে 'ডার্টি ফিল্ম র্যাকেট' চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে বিধাননগর পুলিশ। শুক্রবার এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত নারায়ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। মহিলা দাবী করেন যে নারায়ণ দাস এবং অন্যরা তাকে একটি ভিডিও শুট করতে বাধ্য করেছিল। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে এটি ভারতে দেখানো হবে না।
ভারত ও বাংলাদেশের ডার্টি সাইটে ছবিটি দেখতে পান ওই মহিলা। এরপরই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই মহিলা। পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে আদালতে হাজির করে এবং বর্তমানে অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে যে রাজ্যের নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের বিপুল সংখ্যক যুবতী উপার্জনের উপায় খুঁজতে ডার্টি ফিল্মের র্যাকেটে আটকা পড়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতা শহরের পরিসংখ্যান থেকেই তা জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগে সল্টলেক থেকে নন্দিতা দত্তকে গ্রেফতার নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল এবং এখন ফের এক গেস্ট হাউসের ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, কেউ কেউ এই পথটিকে কম সময়ে বেশি উপার্জনের উপায় বলে মনে করে, আবার অনেকে মিথ্যার জালে জড়িয়ে এই জায়গায় পৌঁছে যায়। উদীয়মান মডেল বা অভিনেত্রীদের সাথে প্রায়ই এটি ঘটে। একদিকে অর্থের প্রয়োজন, অন্যদিকে পরিচয় ফাঁসের বিপদ—এই দুইয়ের মধ্যে যারা অশ্লীল জগতের মুখ হয়ে উঠেছেন তারা নিজেরাই বুঝতে পারছেন না।
বিধাননগর কমিশনারেটের এক পুলিশ অফিসার বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া মূলত প্রতারণার জাল ছড়াতে ব্যবহার করা হয়। তারা বিখ্যাত ফটোগ্রাফার, ভিডিওগ্রাফার, মেক-আপ আর্টিস্টদের সাথে ফটোশুট এবং ওয়েব সিরিজের জন্য অডিশন অফার করে। এরপর ধীরে ধীরে সেগুলোকে 'বোল্ড কন্টেন্ট' নামে ব্যবহার করা শুরু হয়। কেউ রাজি না হলে হুমকি দেয়।
পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, সল্টলেক, নিউটাউন এলাকার অনেক গেস্টহাউসে এই ডার্টি ছবির শুটিং চলছে। এসব দেশের বাইরে বিভিন্ন অ্যাপে চড়া দামে বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম লাইভ এবং নিষিদ্ধ ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও টাকা দেখানো হয়। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এর আগে আমরা শুটিংয়ের সময় নিউটাউনের বিভিন্ন গেস্টহাউস থেকে বিভিন্ন গ্যাংকে ধরেছি। আবারও গেস্টহাউসে হামলা শুরু হয়েছে।
No comments:
Post a Comment