বিটরুট শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি নিয়মিত বিটরুট খান তবে আপনি কখনই অ্যানিমিক হবেন না। সেই সঙ্গে আপনার ভিতরে তৈরি রক্তও পরিষ্কার হবে। অনেকেই প্রতিদিন খাবারে বিটরুট খান। তবে আজ আমরা আপনাকে বলব যে আপনারও যদি এই রোগ থাকে তবে বিটরুট একেবারেই খাবেন না। এতে আপনার কষ্ট ও সমস্যা বাড়তে পারে। বিটরুট আমাদের শরীরে অনেক উপকার দেয় এবং এটি অনেক অসুবিধাও করে।
ভিটামিন বি, সি এর মতো পুষ্টি যোগায়
বিটরুট আমাদের শরীরকে ভিটামিন বি, সি ফসফরাস, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো পুষ্টি দেয়। এর ফলে আমাদের শরীর ফিট ও সুস্থ থাকে। এটি রোগ থেকেও দূরে রাখে। বিটরুট আমাদের শরীরের ভিতরে লুকিয়ে থাকা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়। বীট সবসময় আমাদের রক্তে শর্করা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই কারণে, শরীর অন্যান্য অনেক সুবিধা পায়, তবে এটি কিছু লোকের স্বাস্থ্যের উপর বিপরীত প্রভাবও ফেলতে পারে। সেজন্য একটু সজাগ থাকাও দরকার।
লিভারের উপর প্রভাব
বিটরুট হজম সিস্টেমের জন্য সেরা হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে তা লিভারকে প্রভাবিত করে এবং এটি আপনার লিভারের সমস্যা বাড়ায়। এতে উপস্থিত লোহা ও তামার মতো উপাদান লিভারে জমা হয়। যা লিভার সংক্রান্ত রোগের জন্ম দেয়। অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না এবং পরবর্তীতে এই রোগ বড় আকার ধারণ করে।
চর্মরোগীদের বিটরুট এড়িয়ে চলতে হবে যাদের ত্বক সংক্রান্ত রোগ আছে তাদের বিটরুট খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ । যদি আপনার শরীরে লাল ফুসকুড়ি বা কোনো ধরনের অ্যালার্জি থাকে, তাহলে বিটরুট খাওয়া উচিৎ নয়। চুলকানি ও জ্বরের মতো অভিযোগ থাকলে বিটরুট খাওয়া উচিৎ নয়। যারা কিডনিতে পাথরে ভুগছেন তাদেরও এটি এড়ানো উচিৎ কারণ বিটরুট সরাসরি কিডনিকে প্রভাবিত করে। বিটরুটে উপস্থিত অক্সালেট নামক একটি উপাদান পাথরের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। এতে জনগণের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে লেখা- নতুন যে কোনও কিছু ট্রাই করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment