'দেওয়ার নাম নেই, কিল মারার গোসাই, ১০০ দিনের কাজের টাকা প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। রবিবার কদম্বগাছিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন কুণাল। তার আগে এদিন সভা মঞ্চ থেকে বিজেপি সহ অন্যান্যদের নিশানা করেন তৃণমূল নেতা।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কুণাল বলেন, 'কেন্দ্র সরকার রিপোর্ট দিয়ে বলছে ১০০ দিনের কাজে বাংলা হচ্ছে দেশের সেরা। আর তারপরেই তারা টাকাটা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে প্রতিহিংসাপরায়ণ।' অন্যায় ভাবে টাকা বন্ধ করে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
'১০০ দিনের কাজে যে বাংলা সেরা এটা তো কেন্দ্রের রিপোর্টে প্রমাণিত। সেই কারণেই প্রতিহিংসাপরায়ণ ভাবে টাকাটা বন্ধ করে রেখেছে। এবার কোথাও যদি কেন্দ্রীয় দল গিয়ে বড়-বড় কথা বলতে যায় মানুষ তো বলবেই যে আগে টাকাটা দিন। ফলে সেখানে সেই মানুষ বিক্ষোভ করেছে', সংযোজন কুণালের।
বাসন্তি, মাড়গ্ৰাম সহ একাধিক জায়গায় বোমা বিস্ফোরণের দায় পরোক্ষ ভাবে বিরোধীদের ওপরেই চাপান কুণাল। তিনি বলেন, 'বাংলা শান্ত আছে, ভালো আছে। বিচ্ছিন্ন যে ঘটনা ঘটছে, তা দুর্ভাগ্যজনক, হওয়া উচিৎ নয়। আমাদের প্রতিপক্ষ কয়েকটি শক্তি তারা কিছু বোম আর অস্ত্র কিছু দুষ্কৃতীকে সরবরাহ করছে, প্ররোচনা দিচ্ছে যাতে খবর তৈরি হয়, নেতিবাচক ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশ সতর্ক আছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে।'
পাশাপাশি পদ্ম শিবিরকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'বিজেপির যে নেতারা মুসলিম ভাইদের জন্য বড় বড় কথা বলছেন, সেই নেতারা আগে প্রথম নাক খদ দিয়ে ঘোষণা করুক এনআরসি আর সিএএ হবে না। এনআরসি আর সিএএ- একথা বলে আমরা পাপ করেছি। এই শব্দটা ঘোষণা করুক, তারপর মুসলিমদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবে।'
এর আগে এদিন সভা মঞ্চ থেকে বাম কংগ্রেস ও আইএসএফের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতা। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ধস আনতে অ্যান্টি বিজেপি ভোট ভাগের পরিকল্পনা চলছে।
কুণাল বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে, কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের নেতৃত্বে যে তৃণমূল লড়ছে, বিজেপির গলার কাঁটা। কীভাবে ভাঙব ভোট! অ্যান্টি বিজেপি ভোট ভাগ করো। সিপিএম বলছে আমরা করে দেব কিছুটা। কংগ্রেস বলছে আমরা করে দেব কিছুটা। জোট হয়ে গেল এবং আইএসএফ।' যদিও তিনি বাড়তি গুরুত্ব আইএসএফকে দিতে চান না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন।
No comments:
Post a Comment