কুন্তলের টাকায় টলিউডের ছবি! দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়

টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতে টাকা ঢালার অভিযোগ কুন্তলের বিরুদ্ধে! এমনই অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডির। ইডির তরফ থেকে শুক্রবার আদালতে জানানো হয় যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকার অঙ্কে কুন্তলেরও যোগদান ছিল। শুধু তাই নয়, আরও জানা গেছে যে, রুপোলি দুনিয়াতেও অর্থাৎ বাংলা ছবিতেও নাকি তৃণমূলের এই যুবনেতা টাকা ইনভেস্ট করেছেন। এদিন আদালতে কুন্তল জামিনের আবেদন করেছিলেন, তবে তা নাকোচ করে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে জেরায় জানা গেছে, টলিউড ইন্ড্রাস্ট্রিতে প্রচুর টাকা ঢেলেছেন কুন্তল। যদিও সেই টাকা কোন কোন বাংলা ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে সেটা স্পষ্ট জানা যায়নি। তাছাড়া কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলা সিনেমার এক অভিনেত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর গভীর যোগাযোগ রয়েছে, এমনই দাবী সূত্রের। অভিযোগ, সেই অভিনেত্রীকে কুন্তল একটি বড় ফ্ল্যাট ও উপহার হিসেবে দিয়েছেন। সেই উপহারের টাকাও চাকরি বিক্রির বলেই জানতে পেরেছে ইডি।

এদিন আদালতে কুন্তল ঘোষের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইডির আইনজীবী। তিনি জানান, কুন্তলের দুটো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গেছে। সেই টাকা আবার ট্রান্সফার করা হয়েছে। এত টাকা কাকে পাঠানো হয়েছে , সব কিছু জানতে তাকে ফের জেরার দাবী করেন ইডির আইনজীবী। তাছাড়াও ইডির রিমান্ড লেটারে দাবী করা হয়েছে যে, কুন্তলের সাথে নাকি প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রয়েছে। 

এছাড়া ডিসেম্বরে ইডি কুন্তলের  ফ্ল্যাটে তল্লাশি চলাকালীন বহু ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে। কুন্তল জানিয়েছেন, সেগুলো নাকি তিনি আরটিআই করে পেয়েছেন। তার এই বক্তব্য মানতে নারাজ ইডির তদন্তকারীরা। এই সব তথ্য গুলো আরও খতিয়ে দেখা দরকার বলে জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী।

নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো তাপস মণ্ডলই প্রথম কুন্তল ঘোষের নাম জানান। নিয়োগ দুর্নীতিতে থাকা সত্ত্বেও তাপসকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এই প্রশ্নও এদিন ফের তোলেন কুন্তল ঘোষ। এমনকি বিজেপির সাথে তাপস মণ্ডলের যোগ থাকার দাবীও করেন তিনি। বিজেপির সাথে যোগসাধন করেই তার নামে অপবাদ দিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা করছেন বলেই অভিযোগ কুন্তলের।

কিন্তু কুন্তল ঘোষের এই অভিযোগকে উড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমে তাপস বলেন, 'আমার পরিচয় সব দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গেই আছে। তবে আমার রাজনৈতিক যোগাযোগ কারও সঙ্গে নেই। ও যা জানে সেটা তদন্তকারী সংস্থার কাছে বলুক।'