সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি.লিট দিয়ে সম্মানিত করে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সোমবার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী একজন যোগ্য মহিলা নেত্রী হিসাবে এত বড় সম্মান পেয়েছেন। এটা রাজনীতির জন্য নয়। রাজ্যের মানুষের কাছ থেকে তিনি এই সম্মান পেয়েছেন।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করে, রাজ্যপাল চার্চিল, মিল্টন এবং বাজপেয়ীর কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের সাথে তাদের তুলনা করতে দেখা যায়। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় মনুস্মৃতির শ্লোক পাঠ করেন। তিনি বলেন, "যত্র নারীস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতা।" এর অর্থ নারীকে সম্মান করলে দেবতারাও খুশি হন।
চার্চিল, মিল্টন, বাজপেয়ীর উন্নয়নে মমতাকে একই কাতারে দাঁড় করিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজনীতির ভার কাঁধে থাকার পরও লেখালেখিতে ছাপ রেখে গেছেন অনেক প্রতিভা। এ প্রসঙ্গে চার্চিল, মিল্টন, বাজপেয়ীর কথা উল্লেখ করেছেন। গভর্নর বলেন, মিল্টনের লেখার সঙ্গে সবাই পরিচিত, কিন্তু একই সঙ্গে তিনি একজন 'রাজনীতিবিদ'ও ছিলেন। দেশের কমনওয়েলথ বিষয়ে তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। যদিও রাজ্যপালের বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়েছে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এটা ভালো যে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করবেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের প্রশংসা করবেন। সম্প্রতি প্রাক্তন রাজ্যপালের প্রশংসাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ যাই হোক, রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাব বদলেছে। সম্ভবত দিল্লীর চাপের কারণেই এমনটা হয়েছে, কিন্তু রাজ্যপালকে আমার শুধু বলতে হবে তিনি ডি.লিট পেয়েছেন, এটা ভালো কথা, কিন্তু তিনি নিজের যোগ্যতায় পিএইচডি করেছেন। পরে মিথ্যা প্রমাণিত হলেও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট করেন। তাও নিজে থেকেই। পরে জানা যায়, ডি'লিটের বক্তা এখন কারাগারে বসে আছেন।"
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সৌজন্য হিসেবে মঞ্চে একজন আরেকজনের কথা বলতে পারেন। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। তিনি শিখছেন। দেখা যাক কি হয়। এটা জনগণের ওপর নির্ভর করছে তারা গভর্নরের কথায় বিশ্বাস করবে কি না। ১১ বছরে জনগণ যা শিখেছে তা যদি রাজ্যপাল না শোনেন, তাহলে আমাদের কিছুই করার থাকবে না।"
No comments:
Post a Comment