নির্বাচনী প্রচারে সোমবার ত্রিপুরা উড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছে বিমানবন্দরে থেকে বেরিয়ে আসছিলেন মমতা। তাঁকে স্বাগত জানাতে অন্যান্যদের পাশাপাশি এগিয়ে যান বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ত্রিপুরা তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁকে দেখেই বিস্মিত মুখ্যমন্ত্রী। রাজীবকে প্রশ্ন করেন, 'মা মারা গেছেন! কবে? আমি তো জানি না! যাসনি কেন?'
এরপর মায়ের প্রয়াণের দিনক্ষণ জানাতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন- 'যাসনি কেন? কাজ কে করবে?' এরপরই রাজীবকে তাঁর পরামর্শ, 'বাড়ি গিয়ে কাজ কর। এসবের মাঝেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রাজীব। 'দিদি'র সামনেই কেঁদে ফেলেন হাউ-হাউ করে। রাজীবের মাথায় হাত দিয়ে সমবেদনা জানান মমতা। কাঁধে হাত রেখে পাশে থাকার আশ্বাস দেন অভিষেকও। এ যেন অন্য দৃশ্য ফুটে ওঠে বিমানবন্দর চত্ত্বরে।
পরবর্তীতে আবার চায়ের দোকানে সকলের চা-জল খাবার সারার মাঝেই রাজীব কিছু খেয়েছেন কিনা, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে। তাঁকে ডেকে, তাঁর হাতে বিস্কুটের প্যাকেটও তুলে দেন তিনি।
মমতার মন্ত্রিসভায় দু'বার ঠাই পেয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একুশের নির্বাচনের আগে হঠাৎ করেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার দিন বিধানসভা ভবন ছাড়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুবিশাল ছবি হাতে নিয়ে বেরিয়েছিলেন রাজীব চোখে ছিল জল। দাবী করেছিলেন মমতা তাঁর কাছে মায়ের মতই। সেই কারণেই তাঁর ছবি নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সে সময় রাজ্য রাজনীতিতে কু-কথার স্রোত বইলেও মমতার নামে কখনও কু-কথা বলতে শোনা যায়নি রাজীবকে। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ফের ফুল বদল করে তৃণমূলে ফেরেন প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তাঁকে বাংলা থেকে ত্রিপুরায় দলের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়।
No comments:
Post a Comment