বাংলায় জোরদার করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের কাছে ৩০টি হাই-টেক ক্যামেরা বসানো হচ্ছে, যা ২৪ ঘন্টা কড়া নজর রাখবে। পুলিশ নজরদারির ত্রুটি রোধ করতে, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের চারপাশে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় ক্যামেরা সহ পিআইডিএস বা 'পেরিমিটার ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম' স্থাপন করা হচ্ছে। সেই ইলেকট্রনিক নজরদারি ব্যবস্থায় ৩০টি অত্যাধুনিক ক্যামেরার দৃষ্টিকোণ থেকে কংক্রিট নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কয়েক মাস আগে হাতে লোহার রড নিয়ে সারা রাত মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। রাতভর লুকিয়ে থাকার পর তাকে গ্রেফতার করা হলেও এই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কী উদ্দেশ্যে ওই যুবক সেখানে এসেছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে পর্যবেক্ষণের অভাব ছিল।
এরপরই পিআইডিএস চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এই অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা বাংলায় প্রথম। রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের দাবী, দিল্লী, মুম্বাইয়ের উচ্চ নিরাপত্তা এলাকায় পিআইডি ব্যবহার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছেন, এটি ক্যামেরা ও সেন্সর দিয়ে সজ্জিত একটি ডিভাইস বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস। যদি কেউ এর সেন্সরের কবলে আসে, তবে সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত কন্ট্রোল রুমে একটি সতর্কতা পাঠানো হবে। রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য দায়ী সুরক্ষা অধিদপ্তর এবং কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সুরক্ষা প্রযুক্তি চালু করার পরিকল্পনা করছে। এতে একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে।
পুলিশ জানায়, ওই ক্যামেরার নজরদারি থেকে কেউ রেহাই পাবে না। মানুষের চোখ এড়িয়ে গেলেও মেশিনের নজরে তা ধরা পড়বে। সূত্র অনুসারে, পিআইডিগুলি সাধারণত একটি সামগ্রিক সুরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসাবে মোতায়েন করা হয়। যখন কেউ সেই ডিভাইসের নীচের এলাকায় প্রবেশ করে, তখন এটির সাথে সংযুক্ত সেন্সরগুলি সক্রিয় হয়ে যায় এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের আশপাশের অনেক রাস্তায় সব সময় পুলিশি পাহারা দেওয়া সম্ভব হয় না। পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে কোনও প্রহরী যাতে নজর না দিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্যই এই ব্যবস্থা।
No comments:
Post a Comment