পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী কারা, জানালেন অভিষেক - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 4 February 2023

পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী কারা, জানালেন অভিষেক


পঞ্চায়েত ভোটের আর কয়েক মাস বাকি। তার আগে কেশপুরে জনসভা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিনের সভা মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েতে প্রার্থী কেমন হবে, সেই থেকে শুরু করে বিরোধীদেরও কড়া আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি ব্যাখ্যা দেন নতুন তৃণমূলের। 


অভিষেক বলেন, 'আমি প্রতিটা জনসভা থেকে বলেছি যে, মানুষ যেভাবে তৃণমূলকে দেখতে চায় আমরা সেই ভাবে তৃণমূলকে প্রস্তুত করতে বদ্ধপরিকর এবং সেটাই নতুন তৃণমূল। যে তৃণমূলের লড়াই ২০১১ সালের আগে মানুষকে প্রতি পদক্ষেপে অঙ্গীকারবদ্ধ করেছিল, অনুপ্রাণিত করেছিল সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হিম্মত যুগিয়েছিল, সেই লড়াই ফিরিয়ে আনতে হবে।'


দলীয় নেতা-কর্মীদেরও এদিন কড়া বার্তা দেন সাংসদ। তিনি বলেন, 'নিজের কথা নয়, মানুষের কথা ভাবতে হবে। যাকে মানুষ সার্টিফিকেট দেবে সেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হবে।' অভিষেকের কথায়, 'এখন থেকে বলা শুরু হয়ে গেছে পঞ্চায়েতে আমি প্রার্থী দেব। পঞ্চায়েতে প্রার্থী জেলা বা ব্লক সভাপতি দেবে না, প্রাক্তন সভাপতি দেবে না। পঞ্চায়েতের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবেন। আর কারও প্রার্থী করার ক্ষমতা নেই। তার কারণ পাহারাদারের নাম অভিষেক ব্যানার্জি, আমি দায়িত্বে রয়েছি। কেউ যদি ভাবে আমি মধ্যেখান দিয়ে গলে যাব, দশটা নামের মধ্যে দিয়ে একটা নাম ঢুকিয়ে দেব, আমি হতে দেব না।‌' এর পাশাপাশি অবাধ-শান্তিপূর্ণ ভোটের আশ্বাসও দেন অভিষেক।  


তিনি সাফ জানান, আগামী পাঁচ বছর যারা মানুষের জন্য মাথা নত করে কাজ করবে তারাই পঞ্চায়েত, গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদে দাঁড়াবে।' অভিষেক বলেন, 'যারা ভেবেছে প্রার্থী হয়ে পাঁচ বছর মানুষের কাজ করব না, যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াব, তাদের বিরুদ্ধে যা পদক্ষেপ করার তা কিন্তু দল শুরু করেছে। কেউ যদি ভাবে আমি একটা পাড়ায় গিয়ে কারও সঙ্গে ছোট্ট একটা দুর্ব্যবহার করে বেরিয়ে চলে আসব, কেউ জানতে পারবে না; ভাই সব খবর পৌঁছায়। হয়তো দুই দিনের জায়গায় দুই সপ্তাহ লাগবে, দুই ঘন্টার জায়গায় দুই দিন লাগবে। কিন্তু অদৃশ্য চোখ সবার উপর ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি সবাইকে আরেকবার সচেতন করে দিয়ে যাচ্ছি।' 


কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'যারা বারে বারে প্রশ্ন তুলত পশ্চিম মেদিনীপুরে, বিশেষ করে কেশপুর তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার, আজকের এই জনসভা তাদের জন্য উত্তর বলে আমি মনে করি। তাদের চোখে আঙুল দিয়ে আজ দেখিয়ে দিচ্ছে যে কেশপুরের মাটি, মা-মাটি-মানুষ সরকারের দুর্জয় ঘাঁটি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুর্জয় ঘাঁটি।' 


বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, 'সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জল্লাদ হয়েছে। লাল জামাটা ছেড়ে দিয়ে এখন গেরুয়া জামা পড়ে এখন মানুষের বাড়ি গিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। আর সেই কালো দিন, সেই সন্ত্রাস-গুন্ডামি-রাহাজানি, সেই বোম-বন্দুকের রাজনীতি কেশপুরে ফিরিয়ে আনতে চাইছে।' তাঁর হুঁশিয়ারি, 'যারা ভাবছে যে তৃণমূলকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচনের সময় এক কাজ করব এবং নির্বাচনের পরে আবার জামা পাল্টে তৃণমূলের হয়ে, তৃণমূলের চোখে ধুলো দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আমার স্বার্থ চরিতার্থ করতে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াব- সবার উপর কিন্তু একটা অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কে কোথায় কী কাজ করছেন, কোন অঞ্চল সভাপতি কী কাজ করছে, সেই খবর আমার কাছে আছে।' 


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad