শনির সাড়ে সতী থেকে মুক্তি পেতে চাইলে এই উপবাস করুন, রাহু-কেতুর দশাও শেষ হবে

 ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীর দিনে মহা শিবরাত্রি উৎসব পালিত হয়। বলা হয়ে থাকে মহাশিবরাত্রির এই বিস্ময়কর সময়ে পুরো পরিবেশ হয়ে ওঠে বিশুদ্ধ ও নিখুঁত। বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে ভগবান ভোলে শঙ্কর পৃথিবীর সমস্ত শিবলিঙ্গে প্রবেশ করেন, যার ফলে সমস্ত শিবলিঙ্গ জাগ্রত হয়। এই কারণে এই তিথিকে মহাশিবরাত্রি বলা হয়। এই দিনটিকে শিব ও সতীর মিলনের রাত হিসেবেও ধরা হয়। এই কারণে দেশের অনেক জায়গায় এই দিনে শিব বরাতেরও আয়োজন করা হয়।

ঈশান সংহিতা অনুসারে, মহাশিবরাত্রি ভগবান শঙ্করের সবচেয়ে পবিত্র ও প্রিয় দিন। এই দিনে ভোলেনাথ সুখের সাথে সমস্ত জীবের ইচ্ছা পূরণ করেন। ভগবান শিব দেবতাদের দেবতা। শিবরাত্রির দিনটি প্রধানত কাল সর্প যোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শুভ। এই দিনে ভোলে শঙ্কর প্রসন্ন হন যখন কাল সর্প যোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এর থেকে মুক্তি পেতে পূজা করেন। 

এই শুভ উপলক্ষ্যে এই ধরনের লোকেরা তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য ভোলে ভান্ডারীকে খুশি করার জন্য পূজা, জপ, হবন ইত্যাদি করে। শিবরাত্রি শারীরিক ও মানসিক ব্যাধি, শনির অর্ধেক, রাহু-কেতুর দশা এবং মহাদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার এক অনন্য সময়। যারা শনির অর্ধেক এবং ধৈয়ায়, রাহু-কেতুর দশায় ভুগছেন, তাদের উচিৎ ভগবান ভোলে শঙ্করের পূজা করা, যিনি এই দিনে সকলের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন এবং দুঃখ থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। 

এবার শিবরাত্রি উৎসব আসছে ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ শনিবার। যারা শনির সাড়ে সতী, ধাইয়া, রাহু-কেতুর মহাদশার অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে চান, তাদের উচিৎ এই উৎসব পালনের পরিকল্পনা করা।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।