হিন্দু ধর্মে শালিগ্রামকে ভগবান বিষ্ণুর রূপ বলে মনে করা হয়। কথিত আছে এটি শ্রী হরির মূর্তি। এমন অবস্থায় বাড়িতে শালিগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা শুভ বলে মনে করা হয়। এটি একটি ডিম্বাকৃতি কালো রঙের পাথর। তবে তাদের পূজা করার সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিৎ । জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে শালিগ্রামের পুজোয় কোনও জিনিসের যত্ন না নিলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক বাড়িতে শালিগ্রাম রাখার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ ।
বাড়িতে শালিগ্রাম পুজো করার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন
- জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মন্দিরে যদি শালিগ্রাম স্থাপিত হয়, তাহলে বাড়ির কিছু জিনিসের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। এ সময় বাড়িতে মাংস, মদ ইত্যাদি গ্রহন করবেন না। এতে করে আপনাকে ভগবান শ্রী হরির অসন্তুষ্টির সম্মুখীন হতে হতে পারে।
- শাস্ত্র মতে শালিগ্রাম সবসময় নিজের টাকায় কেনা উচিৎ । ভুল করেও এগুলি কারও কাছ থেকে উপহার হিসাবে নেবেন না। কারো দান করা শালিগ্রামের পূজা করলে তার ফল কিন্তু যিনি রেখেছেন তিনি পাবেন।
- জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে শালিগ্রামে সাদা চাল কখনই নিবেদন করবেন না। শালিগ্রামে অক্ষত ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।
-যদি বাড়িতে শালিগ্রাম প্রতিষ্ঠা করে থাকেন তবে নিয়মিত পুজো করতে হবে। কোনো কারণে পূজা ইত্যাদি করতে না পারলে ভগবানের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে জলে প্রবাহিত করুন। কিন্তু শালিগ্রামকে ঘরে রেখে পুজো করবেন না এমনটা একেবারেই করবেন না। এর কারণে শ্রী হরির অসন্তুষ্টির সম্মুখীন হতে হয়।
- জ্যোতিষীরা বলেন, বাড়ির মন্দিরে কখনও একাধিক শালিগ্রাম স্থাপন করা উচিৎ নয়।
- বাড়িতে তুলসী গাছের কাছে শালিগ্রাম রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে করে ভগবান বিষ্ণুর সাথে মা লক্ষ্মীও খুশি হন।
-ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে শালিগ্রামের পূজা করার সময় পঞ্চামৃত ও চন্দন ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিৎ । ভুল করেও শালিগ্রামের পুজোয় কুমকুম, রোলি ব্যবহার করবেন না।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment