খরগোশ নিরীহ প্রাণী। তারা নিরামিষভোজী। একটি ছোট প্রাণী যা দেখতে লোমশ, তুলতুলে এবং চটপটে। তারা বিভিন্ন ধরনের ঘাস খেতে পছন্দ করে। খরগোশ অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে বেশি বাচ্চা দেয়। খরগোশ খাঁচায় রাখা যেতে পারে। রোগবালাই কম, বাজারে চাহিদাও আছে। যার কারণে মানুষের মধ্যে খরগোশ পালনে উৎসাহ বাড়ছে। শখ পূরণের পাশাপাশি রোজগারও করছেন অনেকে।
এই পদ্ধতিটি অল্প সংখ্যক খরগোশ পালনের জন্য উপযুক্ত। মেঝেতে গর্ত খনন প্রতিরোধ করার জন্য মেঝে কংক্রিটের হওয়া উচিৎ। মেঝেতে ৪-৫ ইঞ্চি ভুসি, ধানের খড় বা কাঠের চিপ ছড়িয়ে দিন। একবারে এইভাবে ৩০ টির বেশি খরগোশ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয় না। পুরুষ খরগোশকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। তবে এইভাবে বড় হলে খরগোশ সহজেই অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। উপরন্তু, এভাবে খরগোশ পরিচালনা করা খুব কঠিন।
পরিবহনযোগ্য জালের খাঁচা বা কাঠের বাক্সগুলি সাধারণত আমাদের দেশে খরগোশ পালনের জন্য ব্যবহৃত হয় যা কৃষকরা দিনের বেলা বাইরে এবং রাতে বাড়ির ভিতরে আনতে পারে। এক্ষেত্রে পুরুষ ও স্ত্রী খরগোশকে কোনও কোনও এলাকায় একত্রে রাখা হলেও সন্তান জন্ম দেওয়ার পর স্ত্রী খরগোশকে বাচ্চাসহ আলাদা করা হয়। এছাড়াও, কিছু এলাকায় স্ত্রী এবং পুরুষ খরগোশকে সবসময় আলাদাভাবে রাখা হয়। পুরুষ খরগোশ শুধুমাত্র প্রজননের সময় স্ত্রী খরগোশকে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment