বাগেশ্বরধামের পীঠাধীশ্বর ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী আজকাল তুমুল আলোচনায়। স্বামী রামভদ্রাচার্য বলেন, “রামচরিতমানসের যে কথোপকথনগুলো বিতর্কিত হচ্ছে। স্বামী প্রসাদ মৌর্য তাদের অর্থ মোটেই জানতেন না। এই লোকেরা ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করতে চায়। কোনও বিরোধ থাকা উচিৎ নয়। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। মোদীজি ও যোগীজিকে হেয় করার ষড়যন্ত্র চলছে। যারা সাহিত্য জানেন না, তারা তর্ক করছেন।"
একই সঙ্গে রামভদ্রাচার্য জানান, বাগেশ্বর ধামের পীঠধীশ্বর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী তাঁর শিষ্য। আমার কথা তার। রামচরিতমানসকে জাতীয় গ্রন্থ ঘোষণা করা অব্যাহত থাকবে। এমনকি সংসদে পাস করতে হলেও। সেটাও করা হবে।
স্বামী বলেন, অখিলেশ যাদব দাঙ্গা করতে চায়। আরও বলেন, “ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। যারা কথা বলছে। সঠিক কথা বলুন। কোনও কুসংস্কার ছড়ানো নয়। কুসংস্কার এমনই, যেমন আমি যদি বলি কবরে চাদর দেওয়া হলে মৃত মানুষেরও কি ঠান্ডা লাগে? যেমন মানুষ বলে কাশ্মীরে নবীজির চুল রাখা হয়েছে। কে জানে এটা কার চুল? সেখানে রাখা চুলগুলো যে কারওরই হতে পারত।"
এসপি নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য তার বক্তব্য নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন। এর আগে তিনি রামচরিতমানস নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছিলেন। এরপর তিনি ঋষি-সাধুদের নিয়ে কড়া মন্তব্যও করেছিলেন। এর পর বাগেশ্বর ধামের পীঠধীশ্বর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্যকে ভণ্ড বলেছেন।
উল্লেখ্য, বাগেশ্বর ধামের অধিপতি ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী সারা দেশ থেকে প্রচুর সমর্থন পাচ্ছেন। বাগেশ্বর ধামের মহারাজের সমর্থনে নেমেছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক নারায়ণ ত্রিপাঠি। নারায়ণ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, বাগেশ্বর ধাম মহারাজ ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment