জন্ম-মৃত্যু, এটাই এই জীবনের আসল সত্য। এই পৃথিবীতে যার জন্ম, তার মৃত্যুও নিশ্চিত। এ দুটো জিনিসই মানুষের হাতে নেই। মানুষ তার কর্ম অনুযায়ী জন্ম নেয় এবং মৃত্যুতেও কর্মের ভূমিকা থাকে। গরুড় পুরাণ সহ বহু ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ আছে যে পঞ্চকে কারো মৃত্যু হলে তা অশুভ বলে বিবেচিত হয়। শাস্ত্রে বলা হয়েছে, পঞ্চক যুগেই রাবণের মৃত্যু হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কারণে পরিবার বা পরিবারের আরও চার সদস্যের মৃত্যুর সম্ভাবনাও ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে বেড়ে যায়।
আসুন জেনে নিই পঞ্চক কাল কি
পঞ্চকে চারটি কাল আছে। রেবতী নক্ষত্র, উত্তরা ভাদ্রপদ, পূর্বা ভাদ্রপদ, শতভীষা। এই চার সময়ে চন্দ্রগ্রহণের তৃতীয় নক্ষত্রের দর্শনকে পঞ্চক বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে পঞ্চক যুগে করা অশুভ কাজটি ৫ দিনের মধ্যে ৫ বার পুনরাবৃত্তি হয়।
পঞ্চক যুগে অনেক কাজই অশুভ বলে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে বাড়ির ছাদ তৈরি করা, দক্ষিণ অঞ্চলে ভ্রমণ, কাঠের জিনিস কেনা, বিছানা ঠিক করা বা তৈরি করা এবং মৃতদেহ দাহ করা। পঞ্চকে মৃত ব্যক্তির শান্তির জন্য গরুড় পুরাণে প্রতিকারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গরুড় পুরাণ অনুসারে, পঞ্চকে মৃতদেহের শেষকৃত্য করার আগে একজন যোগ্য পণ্ডিতের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ । আইন অনুযায়ী এ কাজ হলে এ সংকট এড়ানো যাবে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পঞ্চক যুগে কারও মৃত্যু হলে তার মৃতদেহ দাহ করার পাশাপাশি ঘাসের প্রতিমা তৈরি এবং একই সময়ে শেষকৃত্য করার বিধান রয়েছে। যাতে পঞ্চকের অশুভ ফল এড়ানো যায়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment