কৃষকরা খুব দ্রুত কৃষিতে নতুন লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকছে। এসব ফসলের বেশির ভাগই এমন যে চাষ করে অল্প সময়ে ভালো লাভ পাচ্ছেন কৃষক। সর্পগন্ধও একই ধরনের ফসল। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় অর্থাৎ বর্ষাকালে চাষ করা উত্তম বলে মনে করা হয়।
ওষুধ প্রস্তুত করা হয়
সর্পগন্ধা উদ্ভিদকে ঔষধি গুণের দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ বলে মনে করা হয়। এ থেকে অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয়। এর ফুল, বীজ ও শিকড় বাজারে ভালো দামে বিক্রি হয়। এ কারণে কৃষকদের মধ্যে এ ফসলের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে।
উপযুক্ত মাটির ধরন
সর্পগন্ধা চাষের জন্য ১০ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা ভালো বলে মনে করা হয়। বেলে দোআঁশ মাটি, দোআঁশ মাটি ও ভারী মাটিতে এর চাষ করা যায়। মাটির pH মান ৮.৫ এর বেশি হওয়া উচিৎ নয়। এটি আগস্ট মাসে রোপণের পরামর্শ দেওয়া হয়। বীজ, মূল, কাটিং- এই তিনটি পদ্ধতির মাধ্যমে এর চাষ করা হয়।
সর্পগন্ধা গাছে ১৮ বছরে ফলন শুরু হয়। এটি দিয়ে আপনি ৪ বছর ধরে একটানা ফুল ও বীজ পেতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সর্পগন্ধা প্ল্যান্ট থেকে মাত্র ৩০ মাস উৎপাদন করার পরামর্শ দেন। তারা বিশ্বাস করেন ত্রিশ মাস পর এর ফুল ও বীজের গুণাগুণ কমে যায়।
এত লাভ
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক একর চাষের জন্য ৩.২ থেকে ৪ কেজি সর্পগন্ধা বীজের প্রয়োজন হয়। এটি দিয়ে ৭-৯ কুইন্টাল শুকনো শিকড় পাওয়া যায়। এই শিকড় বাজারে বিক্রি হয় প্রায় ১৫০ টাকা প্রতি কেজি, আর এর বীজ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৩০০০ টাকা পর্যন্ত। শেকড় বিক্রি করেই কৃষক লাখ লাখ টাকা লাভ করতে পারে। এ ছাড়া ফুল ও বীজ থেকে অর্জিত মুনাফা যোগ করলে কৃষক পুরোপুরি সম্পদশালী হবে।
No comments:
Post a Comment