'যে মানুষটা মাসে একবার মাছ খেতে পারে না, তাঁর কথা আগে ভাবা উচিৎ', ডিএ ইস্যুতে মন্তব্য রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের। কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না বলে ডিএ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, এমনও জানালেন মন্ত্রী।
সোমবার বিধানসভার বাইরে ডিএ নিয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলার জনসংখ্যার কত শতাংশ লোক ডিএ পায়, সর্বোচ্চ ৩ শতাংশও না! এই ডিএ প্রাপক আমিও একজন। তবে, আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি ডিএ মানুষের অধিকারের মধ্যে পড়ে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু আমি কোথাও মনে করি না যে এই নিয়ে কোনও আইন আছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের সমপরিমাণ ডিএ দিতে হবে। কিন্তু ডিএ আমাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। জিনিসের দাম বাড়লে সরকারের ডিএ দিতে হবে, কিন্তু প্রায়োরিটি কোনটা?'
মন্ত্রীর কথায়, 'এটা নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন, তবুও আমি বলব, প্রায়োরিটি আমার কাছে- যে মানুষটা সপ্তাহে দু'বার মাছ খেতে পারে, মাসে আটবার মাছ খেতে পারে সেটা ভাবার কথা আগে উচিৎ, না যে মানুষটা মাসে একবার মাছ খেতে পারে না, তাঁর কথা ভাবা উচিৎ! অতএব গরীবতম মানুষদের কথা ভেবে মমতা বন্দোপাধ্যায় যে প্রকল্পগুলো করেছেন সেই প্রকল্প করতে গিয়ে তার প্রচুর টাকা যাচ্ছে।
"আর দ্বিতীয় হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বারবার করে, 'কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিয়ে দিক, আমি এক্ষুনি টাকা দিয়ে দেব, এটা আমার প্রাপ্য টাকা'। কেন্দ্রীয় সরকার বলছে যে, হাউজিংয়ে গণ্ডগোল হয়েছে। তিনি প্রায় কত লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছেন।তারপর সেই কারেক্টর লিস্টের ওপরেও টাকা দেওয়ার কথা, দিচ্ছেন না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাকা আটকে রেখে আমাদের রাজ্যের দরিদ্র মানুষের ওপর আঘাত হানছেন। যে মানুষগুলো একশো দিনের কাজ করে খেতো, সেই মানুষ গুলো টাকা পাচ্ছে না। এই যে একটা দরিদ্রতম মানুষের ওপর আঘাত দিয়ে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন, এর সমালোচনা করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। কিন্তু এটুকু কথাই বলবো, ডিএ আমাদের অধিকারের মধ্যেই পরে। কিন্তু সরকারের কাছে প্রায়োরিটি কোনটা সেটা জানা দরকার", সংযোজন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
No comments:
Post a Comment