ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই যেন আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। ৬০ সদস্যের বিধানসভার নির্বাচন হতে পারে ত্রিকোণ, কেননা নবগঠিত রাজনৈতিক দল টিপরা মোথা পার্টি রাজনৈতিক সমীকরণ সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে। নির্বাচনের পর কিংমেকারের ভূমিকায় থাকতে পারে টিপরা মোথা। নির্বাচনে বিজেপি-আইপিএফটি এবং কংগ্রেস-বামেদের সঙ্গে লড়বে টিপরা মোথা।
ত্রিপুরার রাজনীতিতে নবাগত টিপরা মোথা দলের নেতৃত্বে রয়েছেন, প্রাক্তন রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী প্রদ্যোত মানিক দেববর্মা। তিনি স্পষ্টতই বিজেপি বা কংগ্রেস-বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়তে অস্বীকার করেছেন। তবে, মানিক দেববর্মা নির্বাচনের পর যেকোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করার বিকল্প খোলা রেখেছেন। তার একটি শর্তও রয়েছে, তিনি তার সাথে জোট গঠন করবেন, যিনি বৃহত্তর টিপ্পারল্যান্ডকে আলাদা রাজ্য হিসাবে তার দাবীকে সমর্থন করবেন।
এখানে ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে টিপরা মোথা ৩০ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি দখল করে। এই জয়ের পর টিপরা মোথার উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাস সপ্তমে এবং উচ্ছ্বসিত দল এককভাবে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
টিপরা মোথা এবারের নির্বাচনে অন্তত ২০টি আসনে জয়ের আশা করছেন। ৬০ আসনের বিধানসভায়, এই ২০টি আসনকে উপজাতি অধ্যুষিত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে, নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে বিজেপি, যা কোনও কসরত ছাড়ছে না। বিজেপি ৫৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার মিত্র, ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি) কে পাঁচটি আসন দিয়েছে।
বিশেষ বিষয় হল আইপিএফটি বৃহত্তর টিপরাল্যান্ড রাজ্যের দাবীও তুলেছে এবং নিশ্চিতভাবে কোথাও টিপরা মোথার ভোটারদের মধ্যে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করেছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি এবং আইপিএফটি জোট বামফ্রন্টের ২৫ বছরের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৩৬ টি আসন দখল করেছিল, যার মধ্যে ১০ টি আসন এসটিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল।
উল্লেখ্য, ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট হবে এবং ২ মার্চ ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
No comments:
Post a Comment