'গত পাঁচ বছর ধরে রাজ্য ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে ছিল এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে', এভাবেই ত্রিপুরার শাসক দলকে নিশানা করল বামফ্রন্ট। শুক্রবার ত্রিপুরায় বিরোধী বামফ্রন্ট ২২টি মূল প্রতিশ্রুতি সহ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে। ইশতেহারে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার এবং গত পাঁচ বছরে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বারা ক্ষুন্ন করা আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযোগ করেন যে, রাজ্যটি গত পাঁচ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে ছিল এবং ত্রিপুরার জনগণ তাদের অধিকার হারিয়েছে ও গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অপরাধ, বিশেষ করে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশ জনগণের টাকা লুটপাট করছে এবং বাইরের ব্যবসায়ীরা রাজ্যের সবকিছু দখল করে নিয়েছে। বিজেপি-ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (আইপিএফটি) সরকার রাজ্যটিকে ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে এবং মানুষ এখন স্বাধীনতা চায়। এর জন্য বাম-কংগ্রেস একসাথে নির্বাচন লড়বে এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা ২০২৩ সালে সরকার গঠন করব। মোর্চা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে দলটি ক্ষমতায় এলে তারা রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে, দৈনিক মজুরি শ্রমিকদের সুবিধা দেবে এবং কৃষিকে পুনরুজ্জীবিত করবে।
নারায়ণ কর প্রতিশ্রুতি দেন, দল সরকারি চাকরি দেবে এবং শূন্য পদ পূরণ করবে। শিক্ষা ও মাদকের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করবে। ইশতেহারে বলা হয়েছে, 'আমরা নারীর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করব। আমরা ক্ষমতায় এলে ১০,৩২৩ জন চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সরকারি চাকরি দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা হবে। এছাড়াও SC, ST ও OBC জনগণের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।'
তিনি বলেন, 'আমরা আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনব এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করব। এই ঘোষণাপত্রটি জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য এবং আমরা নিশ্চিত যে বামফ্রন্ট কংগ্রেসের সাথে সরকার গঠন করবে এবং বিজেপিকে রাজ্য থেকে বের করে দেবে।'
No comments:
Post a Comment