'এই ইলেকশনে ডাণ্ডা ভার্সেস ডেমোক্রেসির লড়াই', ত্রিপুরায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোট চাইতে এসে এভাবেই হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে টাউন বর্দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সমর্থনে শুক্রবার এডি নগর স্কুল মাঠে বিজয় সংকল্প জনসভায় অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মানিক সাহা, রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ঝর্ণা দেববর্মা সহ অন্যান্যরা।
এদিন সভা মঞ্চ থেকে বিরোধীদের তিনি বলেন, 'আপনারা জোট করেছেন সত্ত্বা পাওয়ার জন্যে। কিন্তু একটা সত্যি কথা আজকে বলতে হবে, কংগ্রেসের যুবা নেতা দেবল দেবকে কে হত্যা করেছিল? যেই মাটিটা দেখেছে যে কংগ্রেসের যুবা নেতার হত্যাটা সিপিএম-এর গুন্ডারা করেছে, ওই মাটিতে আজকে সিপিএম আর কংগ্রেস জোট করে দাঁড়িয়ে আছে আর বলছে, ওরা ভারতীয় জনতা পার্টির সামনে লড়বে।'
তিনি বলেন, 'আমার প্রথম প্রশ্ন, যে এখানকার এই মাটি কংগ্রেসের যুব নেতার রক্তে ভিজিয়েছে, কংগ্রেসকে দিল্লীর নেতৃত্বকে জবাব দিতে হবে নিজেদের কর্মীদেরই, আপনারা খুনি সিপিএমের সাথে হাত কেন মেলালেন? সত্ত্বার এত লোভ আপনাদের মধ্যে যে, যেই মাটি আপনার নেতাদের রক্তে ভেজা, সেই খুনিদের সঙ্গেই হাত মিলিয়েছেন।'
সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, 'নলচরে আজকে সিপিএম-এর প্রার্থী বলেছে, সিপিএম-এর গুন্ডারা হাতে ডাণ্ডা নিবে। আমি বললাম, ত্রিপুরার এই ইলেকশনে ডাণ্ডা ভার্সেস ডেমোক্রেসির লড়াই। গুন্ডারাজ আর গণতন্ত্রের লড়াই। ওরা গুন্ডা রাজের ভয় দেখাচ্ছে। আমরা গণতন্ত্রের শক্তি দেখাব। আজকে এই সংকল্প আমরা এখান থেকে নিয়ে যাব।'
স্মৃতি বলেন, 'কি ধরণের সরকার চালিয়েছে এখানে বামপন্থী? এই ক্ষেত্রে আপনারা নিজে দেখেছেন, একটি এসডিএম নিজের অফিসে বসে কাজ করছিলো। সুখরাম দেব বর্মণ, নামটা মনে আছে। সিপিএম-এর সরকার ছিল।সিপিএম-এর গুন্ডারা এসডিএম এর অফিসে ঢুকে এসডিএমকে গুলি করে মেরে ফেলেছে। আর আপনারা ভেবে বসে থাকেন, কি ভাবে সিপিএম আবার ভেবে বসেছে যে, এখানে কংগ্রেসের প্রার্থীকে ওরা সাপোর্ট করবে আর বর্দয়ালির লোক ভুল করে আবার সিপিএমের সরকার বানাবে। এটা হতে পারবে না। আজকে আমি বর্দয়ালিকে হাত জোর করে নিবেদন করতে এসেছি। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, 'এই সিপিএম আর কংগ্রেসের জোট, কর দেগা ত্রিপুরা চোট।'
এদিন বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট আবেদন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এরপর কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন তিনি।
No comments:
Post a Comment