তুরস্কের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে। চারদিকে দেখা যাচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য। ক্রমাগত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত ১৫৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। একই সঙ্গে এক হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের বেশির ভাগই মাল্টা ও সানলুইরফার বাসিন্দা। তুরস্কের আদানা শহরে ১৭ তলা ও ১৪ তলা ভবন ধসে পড়েছে।
মাল্টা - ২৩ জন নিহত এবং ৪২০.জন আহত
সেনলুইরফা - ১৭ জন নিহত, ৬৭ জন আহত
ওসমানিয়া- ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে
দিয়ারবাকির- ৬ জন নিহত ও ৭৯ জন আহত
একই সঙ্গে বিএনও নিউজ অনুযায়ী সিরিয়ায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত এখানে ৬ জন মারা গেছে এবং ২০০ জন আহত হয়েছে। তুরস্কে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা রিঅ্যাক্টর স্কেলে ৭.৮ মাপা হয়েছে। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে এই ভূমিকম্প হয়। এখানে অনেক অ্যাপার্টমেন্ট ধসে পড়েছে। লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ভূমিকম্পের পর তুরস্ক আন্তর্জাতিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছে। হাবের্তুর্ক টেলিভিশন জানিয়েছে যে প্রতিবেশী প্রদেশ মালাত্যা, দিয়ারবাকির এবং মালত্যায় বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
স্থানীয় সময় ভোর ৪:১৭ টায় ভূমিকম্পটি ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে হয়েছিল। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা বলছে, সোমবার দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপের কাছে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এ কারণে তুরস্ক ও সিরিয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা এএফএডি বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৪ এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক শহরে।
বিএনও নিউজ জানায়, তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে। এর অনেক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও আসছে। এই ভিডিওগুলিতে ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
অনেক ভবন ধসে পড়ার এবং ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি লোকজনকে চিৎকার করে দৌড়াতেও দেখা যায়। তবে প্রেসকার্ড নিউজ কোনও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি।
No comments:
Post a Comment