'ত্রিপুরা আমার দ্বিতীয় ঘর', সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ত্রিপুরা উড়ে যান বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এমবিবি বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস, সংসদ সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকে।
বিজেপি বাংলায় বলছে গণতন্ত্র নেই ,অন্যদিকে তৃণমূলের গাড়ি আটকে দেওয়া হচ্ছে মিছিলের আগে, গাড়ি দেওয়া হচ্ছে না, সংবাদমাদ্যমের এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মমতা বলেন, 'বাংলা যদি আমার প্রথম ঘর হয়, ত্রিপুরা তাহলে আমার দ্বিতীয় ঘর। আমি এসছি এই কথাই বলতে, যখন কেও ছিল না, বিজেপির এক তরফা অত্যাচার চলছিল এখানে, তখন তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র ছিল। তিনি বলেন, সাংবাদিকেরা দেখেছেন কীভাবে সাংবাদিকের ওপরেও সেই সময় অত্যাচার হয়েছে। এখনও কি হচ্ছে আমি জানি না।'
বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের লোকেদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এমপিদের গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সুস্মিতা ও কাকলি থেকে শুরু করে দোলা সেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকি অভিষেক- প্রত্যেকের গাড়ি ভাঙচুর, আক্রমণ, আক্রান্ত অনেক কিছু হয়েছে। আমি সেই কথা গুলো যা বলার কালকে বলবো।'
মমতা বলেন, ত্রিপুরায় যখন প্রথম কংগ্রেস এল সেই সময়টাতেও সন্তোষ মোহন দেব, মনোরঞ্জন ভক্ত আর আমি তিনজনে মিলে সব চেয়ে বেশি কাজ করেছি। কাজেই ত্রিপুরায় আমি একদম সোনামুড়া থেকে শুরু করে কৈলাশসহর থেকে শুরু করে আমি সবটাই চিনি। ত্রিপুরায় ঘরের মতো থেকে আমি কাজ করেছি। সেদিনও অনেক কাওকে চিনতাম তাদের অনেকেই হারিয়ে গেছে, তাদেরও কখনও কখনও মনে মনে খুঁজি।
মমতা বলেন, 'ত্রিপুরার সাথে বাংলার কানেকশন চিরকাল থাকবে। ওরা আমাদের বড়ো আপনজন। যখন তোমার কেও ছিল না তখন ছিলেম আমি- এই কথাটা বলতে এসছি। আমি মনে করি এটা আমার ঘর। তাই আমি আমার ঘরেই এসছি। নিজের ভাষায় কথা বলতে পারি, নিজেদের মতো রান্না খেতে পারি। ওদেরও যা খাওয়া-দাওয়া, বেশভূষা আমাদেরও তাই। ওদেরও যা চলন-বলন আমাদেরও তাই। সবচেয়ে বড়ো কথা হল আমি নিজের ভাষায় কথা বলতে পারি, আমারও খুব ভালো লাগে।'
এদিন ত্রিপুরার জনগণ ও উপস্থিত সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, মঙ্গলবারের রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পর্কেও অবগত করান। এরপর সেখান থেকে উদয়পুরে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
No comments:
Post a Comment