১৪টি বিরোধী দল ইডি এবং সিবিআই-এর অপব্যবহার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছে। আবেদনে অভিযান ও গ্রেফতারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন শীর্ষ আদালত। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই ১৪টি বিরোধী দলকে এক মঞ্চে আনার কাজ করেছেন। বিশেষ বিষয় হল এই তালিকায় রয়েছে কংগ্রেসও।
কংগ্রেস ছাড়াও এই ১৪টি দলের মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, জনতা দল ইউনাইটেড, ভারত রাষ্ট্র সমিতি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা (উদ্ধব), ন্যাশনাল কনফারেন্স, জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি, সিপিআই, সিপিএম এবং ডিএমকে অন্তর্ভুক্ত। কংগ্রেস নেতা ডঃ অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তারা চলমান তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে না। ৯৫ শতাংশ মামলা বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। তারা গ্রেফতার পূর্ব ও পরবর্তী নির্দেশনা দাবী করছে।
সুরাট আদালত মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করার একদিন পর বিরোধীরা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে, রাহুল গান্ধী জামিন পেয়েছেন এবং উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য ৩০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরে, অ-কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীরা এর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একই সঙ্গে নিশানা করা হয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এমনকি বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে এমন মানহানির মামলায় জড়ানো ঠিক নয়। প্রশ্ন করা বিরোধী দলের কাজ। আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন।
অন্যদিকে, শুক্রবার বিরোধী দলগুলির বৈঠক করেছে কংগ্রেস। এ ছাড়া আপ-র মনীশ সিসোদিয়া, বিআরএস-এর কে কবিতা এবং আরজেডি-র তেজস্বী যাদব কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির রাডারে রয়েছেন। দিল্লীর কথিত মদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই ও ইডি গ্রেপ্তার করেছে মনীশ সিসোদিয়াকে। কে কবিতাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তেজস্বী যাদব এবং তার পরিবারকে চাকরির জন্য জমির মামলায় তদন্ত করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment