সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ রাহুল গান্ধীকে। কংগ্রেস নেতা রাহুলকে সোমবার লোকসভা হাউজিং কমিটি নোটিশ দিয়েছে। এর আগে, গত শুক্রবার অর্থাৎ ২৪ মার্চ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর লোকসভা সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল। লোকসভা সচিবালয় এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বৃহস্পতিবার রাহুলকে মোদী পদবী সম্পর্কিত মানহানির মামলায় সুরাটের একটি আদালত দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর জবাবে তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, "আমি ভারতের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করছি। আমি যেকোনও মূল্য দিতে প্রস্তুত।"
২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার, সুরাটের আদালত ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর উপাধি মোদী সম্পর্কে করা মন্তব্যের বিষয়ে রায় দেয়। আদালত তাকে ৫০৪ ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে রায় কার্যকর করতে ৩০ দিনের সময় দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে তাৎক্ষণিক জামিনও দেওয়া হয়। আসলে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়, কর্ণাটকের কোলারে একটি জনসভায় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, 'সব চোরের পদবী কীভাবে
মোদী?' এ নিয়ে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদী। তিনি অভিযোগ করেছেন যে রাহুল তার মন্তব্য দিয়ে পুরো মোদী সম্প্রদায়ের মানহানি করেছেন। রাহুলের বিরুদ্ধে IPC ৪৯৯ এবং ৫০০ (মানহানি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৩ সালে, সুপ্রিম কোর্ট জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১ সংক্রান্ত একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল। আদালত এই আইনের ৮(৪) ধারাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে। এই বিধান অনুসারে, ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত নির্বাচিত প্রতিনিধি (দুই বছর বা তার বেশি দণ্ডের বিধান সহ) উচ্চতর আদালতে তার পক্ষে আপিল করা হলে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা যায় না। অর্থাৎ, ধারা ৮(৪) দোষী সাব্যস্ত সাংসদ, বিধায়ককে আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল মুলতুবি থাকা অবস্থায় অফিসে থাকার অনুমতি দেয়।
রাহুল গান্ধী ট্যুইটার বায়ো আপডেট করেছেন
রাহুল গান্ধীও এক অনন্য উপায়ে তার প্রতিবাদ নথিভুক্ত করেছেন। রাহুল তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের বায়ো আপডেট করেছেন। মানে রাহুল নিজেই ট্যুইটারে দেওয়া তথ্য পরিবর্তন করেছেন। এতে তিনি নিজেকে অযোগ্য এমপি হিসেবে লিখেছেন। রাহুলের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে লেখা, 'এটি রাহুল গান্ধীর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট। সদস্য, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস।' এরপর শেষে লিখেছেন, 'অযোগ্য এমপি'।
No comments:
Post a Comment