আজকে আমরা নতুন প্রকল্প দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের বিশেষত্ব সম্পর্কে জেনে নিব-
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে বৃহত্তম হাইওয়েগুলির মধ্যে একটি হওয়ায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷ হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের মধ্য দিয়ে যাওয়া দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে দিল্লি থেকে মুম্বাই পর্যন্ত যাত্রা মাত্র ১২ থেকে ১৩ ঘন্টার মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে আগের পুরোনো সমস্ত এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বেশ আলাদা। এক্সপ্রেসওয়ের ধারে প্রায় ৯৩টি স্থানে হোটেল, এটিএম, ফুড কোর্ট, বার্গার কিং, সাবওয়ে, ম্যাকডোনাল্ডস, খুচরা দোকানের মতো একক-ব্র্যান্ডের খাবারের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য চার্জিং স্টেশনের মতো সুবিধে থাকবে।
এই দিল্লি মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে হবে পরিবেশবান্ধব। এক্সপ্রেসওয়েতে গাছপালা প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাতে অনুমান করা হয়েছে।
দিল্লি এবং মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এই পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে কোথাও কোনও টোল গেট নেই। তাই যাত্রার সময় যাত্রীদের বারবার টোলের জন্য থামতে হবে না।
শুধু তাই নয়, মহাসড়কের প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টে ইন্টারচেঞ্জ টোল আরোপ করা হয়েছে। প্রতি ৫০ কিলোমিটারে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য গেট রয়েছে যেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল কেটে নেওয়া হবে।
মুম্বাই দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ে হবে প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে যেখানে দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতি ১০০ কিলোমিটারে সম্পূর্ণ সজ্জিত ট্রমা সেন্টার এবং হেলিপ্যাড থাকবে।
No comments:
Post a Comment