তুরস্কের ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর আজ প্রায় সারা বিশ্ব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে । সকলে নিহতদের প্রতি সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। তেমনই তুরস্কের একটি শহর রয়েছে,এই শহর জাদুঘরের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। এই শহরটি ক্যাপাডোসিয়া নামে পরিচিত। এটি হল চুলের যাদুঘর। এখানে নারীরা এসে চুল কেটে ঝুলিয়ে রাখে। এবং এর পেছনের কারণটাও খুব অদ্ভুত। কেন এমন করেন তাঁরা চলুন জেনে নেওয়া যাক-
এই জাদুঘরে যে সমস্ত মহিলারা আসেন, তারা তাদের চুলের একটি বড় অংশ এখানে রেখে যান। এর পেছনে কারণ হল ৩৫ বছর আগে, এখানে একজন ফরাসি মহিলা ক্যাপাডোসিয়া বেড়াতে এসেছিলেন, তখন তিনি এখানকার এক পুরুষের প্রেমে পড়েছিলেন। তিনি এখানে তিন মাস ছিলেন এবং তারপরে যাওয়ার সময় হলে তিনি তার চুল কেটে একটি টোকেন অফ লভ রেখে যান।
এই চুলের গল্পটি এখান থেকেই শুরু হয়েছিল। তাই যে কোনও নারী এখানে আসেন তারা তার চুল কেটে দেয়ালে ঝুলিয়ে দেন। আর কিছু দিনের মধ্যেই এই জায়গাটা চুলের জাদুঘরে পরিণত হয়।
এই জাদুঘরটি ১৯৯৮ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিবন্ধিত হয়েছিল। প্রতি বছর এই জাদুঘরের মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা, গালিপ পর্যটকদের মধ্যে একটি লটারির আয়োজন করে ভ্রমণ করানো হয়।
এই শহরের আরেকটি বিশেষ বিষয় হল এখানে বছরে ২৫০ দিন বেলুন উড়ে। এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং প্রচুর পরিমাণে পর্যটকরা এখানে যান। তারা বেলুন যাত্রায় যোগ দেয়।
No comments:
Post a Comment