সাপ এমন একটি প্রাণী যা সবাই ভয় পায়, যদিও সব প্রজাতির সাপই বিষাক্ত নয়, তবে কিছু সাপ এতটাই বিষাক্ত যে তাদের কামড়ানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হয় । কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন যে, যে সাপের বিষের প্রভাবে সবাই ভয় পায়? সেই সাপ যদি নিজেকে কামড়ায় তাহলে কী হবে? চলুন জেনে নেই-
সাপে নিজেই নিজেকে কামড় দিয়েছে। এই খবরটি অস্ট্রেলিয়ার দৈনিক ডেইলি মেইলের। ম্যাট হ্যাগান অস্ট্রেলিয়ার কেয়ার্নস শহরে বসবাসকারী একজন পেশাদার স্নেক ক্যাচার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি ইয়ারভিলে বসবাসকারী এক মহিলার কাছ থেকে একটি ফোন পান যে তার বাড়ির বাইরে প্রায় ১.৫ মিটার লম্বা বাদামী সাপ রয়েছে। ম্যাট সেখানে গিয়ে দেখেন যে সাপটি নিজের গলার নীচের অংশটি নিজের মুখে দিয়ে রেখেছে। আর সাপটি মারা গেছে।
মৃত্যুর কারণ জানতে পরীক্ষা করে দেখা যায়, নিজের বিষ শরীরে প্রবেশ করায় সাপের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাপে কামড়ালে বিষ তাদের পরিপাকতন্ত্রে পৌঁছয় এবং সেখান থেকে এই বিষ রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পৌঁছে মৃত্যু ঘটাতে পারে।
কয়েক বছর আগে প্রতিবেদন অনুসারে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল, যে একটি সাপ রাস্তায় নিজের মাথা ঠুকে ঠুকে আত্মহত্যা করেছিল। এই ভিডিওটি ইউটিউবেও আপলোড করা হয়।
আসলে সাপের এই অবস্থাকে সেরেপটিসাইড বলা হয়। রক্তে 'সেভারেন্ট' রাসায়নিক মিশ্রিত হওয়ার কারণে এই অবস্থা হয়। এটি মানসিক চাপ এবং রাগের দিকে পরিচালিত করে যার ফলে প্রাণীটি খুব হিংস্র আচরণ করতে শুরু করে, এমনকি আত্মহত্যাও করতে পারে।
অনেক জীববিজ্ঞানী বলেন, সাপের বিষ সাপের উপরই অকার্যকর, তাই সে নিজে কামড়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। কিছু সাপ বিশেষজ্ঞ তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, আহত বা পঙ্গু হলে সাপ আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারে।
তবে জীববিজ্ঞান জেনে বলা হয় যে সাপ দুটি যদি একই প্রজাতির হয় তবে দুজনের বিষে নিজেরা আক্রান্ত হবে না, তবে সাপ যদি ভিন্ন প্রজাতির হয় তবে যার বিষ বেশি সে কম বিষের সাপকে মেরে ফেলতে পারে। সাপের বিষ তার বিষ গ্রন্থিতে জমা থাকে। তাদের রক্তে বিষের সঞ্চালনের সঙ্গে এর কোনো যোগাযোগ নেই।
No comments:
Post a Comment