এই পৃথিবীতে এমন অনেক রহস্যময় জিনিস আছে, যা আমাদের অবাক করে দেয়। আমরা জানি যে সবকিছুর ছায়া আছে। কিন্তু, আজ আমরা এমন একটি ছায়ার কথা জানবো , যা আজ পর্যন্ত রহস্যই রয়ে গেছে। গত ৭৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে কেউ জানে না এটি কার ছায়া। আসুন এই বিষয়ে জেনে নেই বিস্তারিত-
জাপানে অবস্থিত হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল। এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি ঘটে ৬ই আগস্ট, ১৯৪৫ সালে, এখানে বোমা ফেলে আমেরিকা। এই শহরের এক জায়গায় মানুষের মতো দেখতে রহস্যময় ছায়া রয়েছে। ৭৭ বছর হয়ে গেল, কিন্তু আজ পর্যন্ত জানা যায়নি সেটি কার ছায়া ছিল।
এই ছায়াটি 'হিরোশিমা স্টেপস শ্যাডো' বা 'হিরোশিমার ছায়া' নামে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলায় চোখের পলকে মারা যায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। ছায়ার এই ছবিটি বিস্ফোরণের স্থান থেকে ৮৫০ ফুট দূরত্বে তোলা হয়েছিল, যেখানে একজন ব্যক্তি বসে ছিলেন।
কথিত আছে যে পারমাণবিক বোমা সেই ব্যক্তিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছিল কিন্তু তার ছায়া মুছে ফেলতে পারেনি। আজ পর্যন্ত এই ছায়ার বাস্তবতা শনাক্ত করা যায়নি যে কে সেই ব্যক্তি, কে সেখানে বসে ছিল? এটি এখনও পর্যন্ত একটি রহস্যই রয়ে গেছে।
হিরোশিমায় পারমাণবিক হামলায় প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল একটি হিসেব অনুযায়ী। বিস্ফোরণ ঘটলে সেখান থেকে প্রচণ্ড শক্তি বের হয় এবং বলা হয় এর উত্তাপের কারণে ৮০ হাজার মানুষ মারা যায়। এমনকি পরবর্তীতে পারমাণবিক বিকিরণজনিত রোগে হাজার হাজার মানুষ মারা যায়।
হিরোশিমায় যে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল তার নাম ছিল 'লিটল বয়'। এর ওজন ছিল প্রায় ৪৪০০ কেজি। বলা হয়, এর অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ভূগর্ভে ৪,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপ তৈরি হয়েছিল। এর কারণে এত উচ্চ তাপমাত্রায় কারো পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব ছিল।
No comments:
Post a Comment