কথায় আছে যে, বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহু দূর। ঠিক তেমনই এই অলৌকিক মন্দির। আমাদের দেশে প্রচুর মন্দির রয়েছে। প্রত্যেকের নিজস্ব বিশ্বাস আছে। কিন্তু, ইউপির ঝাঁসিতে এমনই এক অদ্ভুত মন্দির রয়েছে, যার নাম 'জয় কুতিয়া মহারানি মা'। গ্রামের প্রতিটি লোক অবশ্যই এখানে মাথা নত করে। স্থানীয় লোকদের মতে, এই মন্দিরটি বহু বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং আজও এই মন্দিরটি ঝাঁসিতে রয়েছে।
গ্রামের লোকেরা প্রতিদিন এখানে জল দেয় এবং কুকুর রাণীকে খাবার দেওয়ার পরে তার আশীর্বাদ গ্রহণ করা হয়। চলুন তবে জেনে নেই এর পেছনের গল্প-
উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির মৌরানিপুর তহসিলে অবস্থিত কুতিয়া মাতার মন্দির। গ্রামের লোকজনেরা জানান, যেখানেই অনুষ্ঠান হত, এই কুকুরটি সেখানে খাবার খেতে পৌঁছে যেত। এই কুকুরটি মৌরানিপুরের রেভান ও কাকওয়ারা গ্রামে থাকত।
একবার রেভান গ্রামে একটি অনুষ্ঠান ছিল এবং এই কুকুরটি সেখানে গেলে খাবার শেষ হয়ে যায়। এরপর কুকুরটি খাবার না পাওয়ায় ক্ষুধার জ্বালায় মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পেরে দু জায়গার গ্রামবাসীরা মিলে কুকুরটিকে পুঁতে দেয়।
কিছুদিন পর এই স্থানে একটি সাদা মঞ্চ তৈরি করে কুকুরের মূর্তি স্থাপন করা হয়। তারপর থেকে সবাই কুতিয়া রানীকে পূজো করা শুরু করে আসছে এবং আজও তা চলে আসছে।
আজও গ্রামে কোনও অনুষ্ঠান হলে প্রথমেই গ্রামের লোকেরা এসে এই কুতিয়া রাণীকে ভোগ নিবেদন করে। পাশাপাশি গ্রামে কোনও অনুষ্ঠান হলে আমন্ত্রণ করে শুভ অনুষ্ঠানের কার্ড দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment