খালিস্তান সমর্থকদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে ভারতীয় দূতাবাসে বিশৃঙ্খলার বিষয়ে ভারত কড়া অবস্থান নিয়েছে। নয়াদিল্লীতে যুক্তরাজ্য দূতাবাসের কাছেও নিরাপত্তা কমানো হয়েছে। এর পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তা তার দায়িত্ব। অমৃতপালের সন্ধানের পরে, বিক্ষুব্ধ খালিস্তানি সমর্থকরা দূতাবাস থেকে তেরঙ্গা সরিয়ে ফেলেছিল।
খালিস্তান সমর্থকরা যুক্তরাজ্যে ভারতীয় দূতাবাসে ভাংচুর চালায়। একই সময়ে আবারও বিক্ষোভ শুরু হলে দায়িত্ব নেয় যুক্তরাজ্য পুলিশ। বর্তমানে এই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্য ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর পর যুক্তরাজ্য স্পষ্টীকরণ পেশ করে বলেছে, এ ধরনের হামলা বরদাস্ত করা হবে না। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক ভারতের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে একটি কড়া বার্তাও দিয়েছিল যে যারা এই নাশকতার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভারতীয় দূতাবাসে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। তার সরকার ও স্থানীয় পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছে। এ ছাড়া ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভারতীয় কর্মচারী ও দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য যা কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে তা করা হবে।
তিনি বলেন, "আমরা সব সময় অন্যান্য দেশের দূতাবাস ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।" তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ভারত-ইউকে রোডম্যাপ ২০৩০ থেকে বোঝা যাবে যে কীভাবে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও, উভয় দেশ কর্মসংস্থান এবং বাজার বৃদ্ধির জন্য একসাথে কাজ করছে, যা বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করে। বিবিসি ডকুমেন্টারি নিয়ে দুই দেশেই তিক্ততা দেখা দিয়েছে। ভারত এই তথ্যচিত্রকে অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছে।
No comments:
Post a Comment