বাস্তু শাস্ত্রে মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে কিছু বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ঝাড়ু হল মা লক্ষ্মীর প্রতীক এবং ঘরে ঝাড়ু ব্যবহার ও রাখার সময় যদি কিছু জিনিসের যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পান। দয়া করে বলুন যে ঝাড়ু শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবহার করা হয় না, এটি পূজাতেও ব্যবহৃত হয়।
শাস্ত্র অনুসারে, ঝাড়ু ঘর থেকে দারিদ্র্য দূর করতে এবং সুখ ও সমৃদ্ধি আনতে সাহায্য করে। বাস্তুশাস্ত্রে ঝাড়ু সংক্রান্ত অনেক নিয়ম ও ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। কথিত আছে যে এটি বাড়ির সঠিক দিকে রাখলে ব্যক্তির ঘর থেকে দারিদ্র্য দূর হয়। একই সাথে, ঝাড়ু সংক্রান্ত ছোটখাটো ভুলও ব্যক্তিকে দরিদ্র হতে সময় নেয় না। ঝাড়ুর সাথে সম্পর্কিত এই জিনিসগুলি কীভাবে অনুসরণ করবেন তা জানুন।
ঝাড়ুর এই নিয়মগুলো মেনে চলা দরকার
১. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার কিছু নিয়ম মেনে চললে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে। দয়া করে বলুন যে দিনের চার ঘন্টা ঝাড়ু দেওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে। একই সময়ে, রাত চারটা অশুভ এবং অনুচিত বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে রাত চারটায় ঘর ঝাড়ু দিলে অর্থনৈতিক কষ্ট ও দারিদ্র্য দূর হয়। এতে মা লক্ষ্মী রেগে যান।
২. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝাড়ু সবসময় বাড়ির কোথাও লুকিয়ে রাখা উচিৎ । সবসময় খেয়াল রাখবেন ঝাড়ু যেন কারো চোখে না পড়ে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক স্থান নির্বাচন করা।
৩. এটা বিশ্বাস করা হয় যে ঝাড়ু কখনই সোজা রাখা উচিৎ নয়। ঝাড়ুর এই অবস্থান ঘরে দারিদ্র্য আনে। এমন অবস্থায় ঝাড়ু সবসময় ঘরে শুইয়ে রাখা উচিৎ ।
৪. বাড়িতে ভাঙা ঝাড়ু ব্যবহার করাও অশুভ বলে মনে করা হয়। এমন অবস্থায় বাড়ির ঝাড়ু ভেঙে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে বদলে ফেলা উচিৎ ।কথিত আছে ভাঙা ঝাড়ু ঘরে রাখলে বাস্তু দোষ হয়।
৫. বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে ঝাড়ু কখনই বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা উচিৎ নয়। বাড়ির দক্ষিণ দিক বা বাড়ির পশ্চিম-দক্ষিণ দিক ঝাড়ুর জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment