অনলাইন সেক্স র্যাকেটের পর্দা ফাঁস। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্ৰেফতার করল শিলিগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ। শিলিগুড়ি হায়দারপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া ওই মহিলার নাম ললিতা বর্মন ওরফে চন্দনা। উল্লেখ্য, অখিলেশ কুমার নামে এক ব্যক্তি বিহারে বসেই অনলাইন সেক্স র্যাকেটের চক্র চালাচ্ছে শিলিগুড়ির এক বাসিন্দা চন্দা শাহ ওরফে জয়ার মাধ্যমে। বাইশ সালের ডিসেম্বর শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের মহিলা থানা পুলিশ এই বিষয়টি জানতে পারে। সেইসময় মহিলা থানার দল মিজানুর ইসলাম ওরফে বাউ (২৭) এবং সম্রাট সরকার ওরফে বিক্রম ও (২৪) চন্দা শাহ ওরফে জয়াকে অনলাইন সেক্স র্যাকেট চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে।
এর পরে, এই মামলার তদন্তে নেমে মহিলা থানার পুলিশ দুই মাস পর বিহারের বেগুসরাই থেকে অনলাইন সেক্স র্যাকেট গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড অখিলেশ কুমারকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড নেয়।
জানা গিয়েছে, মাস্টারমাইন্ড অখিলেশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পুলিশের সামনে আসে ললিতা বর্মন ওরফে চন্দনা নামটি, যে সেক্স র্যাকেটে মেয়ে সরবরাহ করত। এরপর মহিলা থানার পুলিশ ফোন নম্বরের সাহায্যে ললিতা বর্মণের তল্লাশি শুরু করে।
বৃহস্পতিবার রাতে মহিলা থানার পুলিশ হায়দারপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে ললিতা বর্মণকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করার পাশাপাশি বিচারকের কাছে আরও তদন্তের জন্য রিমান্ড চাইবে মহিলা থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment