পানীয় জলের সঙ্কটে ধুঁকছে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের বেলিয়াতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা। এই এলাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে রয়েছে একটি কল, কিন্তু সেখান থেকেও জল আনা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই ভরসা ঐ কুয়োর জল, কিন্তু তাও পানের অযোগ্য এবং এতে প্রায় জল নেই বললেই চলে। প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জল আনতে যেতে হয় এলাকার সিংহভাগ পরিবারকে। বর্তমান সরকার বাড়ি বাড়ি কলের ব্যবস্থা করলেও এই এলাকায় এখনও পৌঁছায়নি বাড়ি বাড়ি কল, এমনই অভিযোগ। এলাকার মানুষদের দাবী, পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পানীয় জলের সমস্যা না মিটলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারিও দেন এলাকাবাসীরা। বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনই বিজেপি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা শিবানী সেন বলেন, 'আমাদের খাওয়ার জলের বেশি অসুবিধা, রাস্তাঘাট ও হয়নি। কেউ বললেও কোনও গুরুত্ব দেয় না। ভোটের সময় সকলে এসে শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। আমরা কি বাণের জলে ভেসে এসেছি! আমরা যদি বেঁচেই না থাকি, ভোট দেব কীভাবে!'
তিনি বলেন, 'আমরা জল, রাস্তা, খাবার চাই। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসুক আর যাই আসুক, আমাদের না দেখলে আমরা কীভাবে দেখব। ভোট পেয়ে নিজেদের পকেট ভরে আনন্দ করে আর আমাদের এই দুর্দশা। একটা ত্রিপাল পর্যন্ত পাই না।'
অপর এক বাসিন্দা অনিমা সেন বলেন, 'অনেক দূর থেকে জল আনতে হয়। সরকার সবাইকে কল দিয়েছে, আমাদের দেয়নি। পঞ্চায়েত, মেম্বার, নেতা সকলকে জানিয়েছি, কেউ আমাদের গুরুত্ব দেয় না, শুধু আশ্বাস দেয়। আমরা এবার কেউ ভোট দেব না।'
বিষয়টি নিয়ে শাসক দলকে বিঁধেছে বিজেপি, বড়জোড়া মণ্ডল ২-এর বিজেপি যুব মোর্চার যুব সম্পাদক শৌভিক মেটা বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী জল যোজনার জন্য টাকা দিয়েছেন, কাজও শুরু হয়েছে কিন্তু যেখানে প্রধান বা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাদের বাড়ি। আমার বাড়ির এক থেকে দুশো মিটার দূরে এরা এত দুঃখে কষ্টে আছে, পঞ্চায়েত-প্রধানকে জানিয়েও সমস্যা মেটেনি। এদের গুরুত্ব শুধু ভোটের সময়।'
তাঁর কটাক্ষ, 'কেমন মেম্বার, মানুষের পরিষেবা দিতে পারছে না! এমন সরকার থাকার থেকে না থাকা ভালো। ধিক্কার জানাই তৃণমূল সরকারকে।'
এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
No comments:
Post a Comment