এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। সিঙ্গুর থেকে ১২০০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির ঘোষণা দিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, মমতা সরকারের বিরুদ্ধে কৃষক ইস্যুতে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমেছে বঙ্গ বিজেপিও। কলকাতার রাজপথে দায়িত্ব নিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের কৃষকদের বিরুদ্ধে দুর্দশার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি শিবির। বিজেপি কিষাণ মোর্চার তরফে মিছিল বের করা হয়েছে এবং মমতা সরকারকে আক্রমণ করেছেন।
মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সঙ্গে রয়েছেন প্রাক্তন স্পিকার রাহুল সিনহাও। মিছিলটি কলেজ স্ট্রিট থেকে শুরু হয়ে এসএন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলায় গিয়ে শেষ হবে।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করার অভিযোগ করছে বঙ্গ বিজেপি শিবির। রাজ্যে কৃষকদের আত্মহত্যা এবং ফসলের উপযুক্ত মূল্য না দেওয়ার অভিযোগে আজ রাস্তায় নেমেছে বিজেপির কিষাণ মোর্চা। আজ কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু হওয়ার আগে রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর নিয়ে বড় কথা বলেন। আমি বিধানসভায় বলেছিলাম, কৃষি ঋণ মকুব করতে হবে। রাজ্যের কৃষকরা বঞ্চিত। কৃষকদের ভোটে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও তাদের বঞ্চিত রাখা হয়েছে।" সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠান নিয়েও মজা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এত কাজ হচ্ছে, কিন্তু নারকেল ভেঙে রাস্তা উদ্বোধন করা হবে। একটি রাস্তা বারবার উদ্বোধন করতে হয়।"
তবে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির কিষাণ মোর্চার মিছিলকে উপহাস করতেও তৃণমূল শিবির কোনও কসরত ছাড়ছে না। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, “তুঘলকি, হিটলারশাহী, স্বৈরাচারী বিজেপি শাসনের সময় কৃষকদের শতাব্দীর সেরা কৃষক আন্দোলন করতে হয়েছিল। শতাব্দীর এই আন্দোলনকে পুলিশ চূর্ণ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত কৃষক আন্দোলনের চাপে তিনি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে ২০১৪ সালে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে, তবে আট বছরেও তা হয়নি।"
No comments:
Post a Comment