রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পথ পরিষ্কার। বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে ওবিসি সম্প্রদায়ের গণনা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইকোর্ট আর হস্তক্ষেপ করবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যে ওবিসি সম্প্রদায়ের গণনা করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি পিআইএল দায়ের করেছেন। তার শুনানিকালে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেন।
শুভেন্দু অধিকার অভিযোগ করেছিলেন যে ২০১১ সালে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির গণনা করা হয়েছিল কিন্তু অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির গণনা করা হয়নি। এর জবাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে তারা ঘরে ঘরে গিয়ে এই হিসাব করছে। সেই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জও করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার, শুভেন্দু অধিকারীর জনস্বার্থ মামলা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে এসেছিল।আদালত বলেছে, “আপাতত, হাইকোর্ট নির্বাচনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। এই বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন নেবে।"
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি কলকাতা হাইকোর্ট। বল ঠেকিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কোর্টে। অন্য কথায়, কমিশন সমস্ত নিয়ম মেনে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বলা হয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। এই সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা করা হলেও সমস্যা নেই। ওবিসি সম্প্রদায়ের লোক গণনার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী আদালতে মামলা দায়ের করেন। শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ের লোকদের গণনা করার জন্য রাজ্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেদের ভোট গণনার জন্য আলাদা নিয়ম থাকতে পারে না। মঙ্গলবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। বিচারপতিরা আরও বলেন, আজকের রায়ে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারী এ বিষয়ে নতুন মামলা করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment