আদানি ইস্যু এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ বাতিলের কারণে তোলপাড় দেশের রাজনীতি। শুরু হয়েছে কংগ্রেসের প্রতিবাদ বিক্ষোভ। এই পর্বে এবারে, সোমবার কালো পোশাক পরে রাস্তায় নামলেন কংগ্রেস-সহ বিরোধী সাংসদরা। সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন সংসদ সদস্যরা। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীও এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, 'দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে বলেই আজ আমরা কালো পোশাক পরে এসেছি। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিলের পর সবাই কংগ্রেস দলকে সমর্থন করেছেন। নির্বাচনে জিতে আসা জনগণকে সরকার হুমকি দিচ্ছে। যারা মাথা নত করে না, তাদের ইডি ও সিবিআইয়ের ভয় দেখানো হয়।
খাড়গে আরও বলেন, 'আজ গণতন্ত্রের কালো দিন, সরকার কেন জেপিসিকে এড়িয়ে চলেছে, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকাকালীন, জেপিসি-তে বেশিরভাগ সদস্য তাদের দলের হবে, তবুও তারা ভয় পায়, তার মানে ডালে কিছু কালো আছে। যাঁরা ভয় পান, কখনও কখনও তাঁরাও ফাঁদে পড়েন। খড়গে- রাহুল কর্ণাটকের কোলারে বলেন, কীভাবে সুরাতে ডাকা হয়।'
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় সুরাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং তারপরে যখন রায় আসে, তখন খাড়গে বলেন, বিষয়টি অন্য কোথাও থেকে এবং মামলাটি অন্য কোথাও নথিভুক্ত করা হয়েছে। অর্থ স্পষ্ট যে, আপনি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার চেয়েছিলেন যার পুলিশ এবং প্রশাসনকে রাহুল গান্ধীকে হেয় করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।' উল্লেখ্য, বিরোধী দলগুলোর এই বিক্ষোভ তৃণমূলও সমর্থন করেছে। সমাবেশে দলটির সংসদ সদস্যরাও অংশ নিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং বলেন, 'আমাদের জেপিসির দাবী কেবল মোদী সরকার এবং আদানির স্বার্থে। এর মাধ্যমে দেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনার সুযোগ পাওয়া যায়।' তিনি বলেন, সরকার আমাদের দাবী মানছে না, তার মানে ডালে কালো কিছু আছে। সরকারও ঘাবড়ে আছে।'
প্রসঙ্গত, চার বছরের পুরনো মানহানির মামলায় বৃহস্পতিবার গুজরাটের সুরাত আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। আদালত রাহুল গান্ধীকে আপিল করার জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়ে জামিনও মঞ্জুর করেছে। আদালতের সিদ্ধান্তের পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment