দুদিনের বাংলা সফরে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁর স্বাগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই স্বাগত অনুষ্ঠান রাজ্য সরকার আয়োজন করলেও তার আগেই তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি নেতা এবং বিজেপি বিধায়করা অভিনন্দন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও আমন্ত্রণ পাননি। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, তিনি রাজ্যপালের তরফে রাজভবনে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিচ্ছেন।
শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেন, “যারা তার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে, তারা কেন্দ্রের মঞ্চে অনুষ্ঠানের শিরোনাম! যারা তার পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য সারিতে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।” শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি বিজেপি অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনেও এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, কোনও রাজ্যে যখন রাষ্ট্রপতির সম্মানে কোনও অনুষ্ঠান হয়, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল তো উপস্থিত থাকেনই, তবে বিরোধী দলের নেতাও উপস্থিত থাকেন, কিন্তু নাতাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, না বিজেপির কোনও বিধায়ককে৷
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোমবার সকাল ১১.৫৫ মিনিটে কলকাতায় পৌঁছান। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এটাই তাঁর প্রথম কলকাতা সফর, তবে শুভেন্দুর বক্তব্য বিতর্ক তৈরি করেছে। এদিন বিকাল ৫টায় নেতাজি ইন্ডোরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। এতে কোনও বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-ও আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবী করেছেন যে, এই কর্মসূচিতে বিজেপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে, কলকাতায় পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতি জোড়াসাঁকোতে অবস্থিত নেতাজি ভবন ও রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সেখানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কিত স্মৃতি দেখেন। মঙ্গলবার, রাষ্ট্রপতি বীরভূমে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
No comments:
Post a Comment