অপরাধীরা লাগামহীন হয়ে পড়েছে বাংলায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কলকাতা ও বারুইপুরে যথাক্রমে এক মহিলা ও এক নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কলকাতায় স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভাড়াটিয়া মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাড়িওয়ালার ছেলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে হরিদেবপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে আটক করে আদালতে হাজির করে। কলকাতার হরিদেবপুর এলাকার কৈলাস ঘোষ রোডে অবস্থিত একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন এক দম্পতি। স্বামী প্রতিদিন সকালে কাজে চলে যেতেন। ওই দিন বাড়িওয়ালার ছেলে ভাড়াটিয়ার বাড়িতে ঢুকে ভাড়াটিয়া মহিলাকে ধর্ষণ করে।
স্বামীকে ফোন করে গোটা ঘটনার কথা জানালে তিনি হরিদেবপুর থানায় যান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত বাবু দেকে গ্রেপ্তার করে। এদিন তাকে আদালতে তোলা হয়।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরে এক নাবালিকাকে আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সন্দীপ সরদার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। বারুইপুর থানায় অভিযোগ, নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা বারুইপুর মহুকুমা হাসপাতালে হয়। নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেছেন যে অভিযুক্ত সন্দীপ সর্দার মেয়েটিকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে তার কাকির বাড়িতে নিয়ে যায়, যেখানে নাবালিকা মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়।
ঘটনার কথা কাউকে জানালে তাকে খুনের হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পরে ওই ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনার জেরে দিন দিন নাবালিকার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। এরপর নাবালিকার পুরো ঘটনাটি তার মাকে জানায়। তার পরেই বারুইপুর থানার দরজায় ধাক্কা দেন নাবালিকা ও নাবালিকার মা। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে যায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশ তাকে বিভিন্ন এলাকায় খুঁজছে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর আড়াইটার দিকে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার একটি বাড়িতে চোরেরা প্রবেশ করে। ওই বাড়িতে ৬০ বছর বয়সী এক মহিলা ছিলেন।তাদের বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
No comments:
Post a Comment