আজকের দিনে ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাসে একটি ভয়ানক ট্র্যাজেডি হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। ২৮ মার্চ,২০০৫ এই দিনে, সুমাত্রা দ্বীপে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের কম্পনে ১৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয় ৮.৬। ১৯৬৫ সালের পর এই ভূমিকম্পটিকে রিখটার স্কেলে তীব্রতার দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ভূমিকম্প বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, এটি ছিল বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম ভূমিকম্প।
সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের তিন মাস আগে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সুমাত্রা দ্বীপেই ৯.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। এই ভূমিকম্পে অনেক ধ্বংসলীলা হয়েছিল।
এই ভূমিকম্পের পর সমুদ্রে সুনামির ঢেউ উঠেছিল, যার ফলে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা সহ আরও অনেক দেশে আড়াই লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। এতে শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই এক লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পের কম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এর ফলে অনেক শহরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। একই সঙ্গে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামি থেকে প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে চলে গেছে। অন্যদিকে, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং কুয়ালালামপুরে আজ শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ সুনামির পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে উঁচু ভবনগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএসজিএস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯০১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাতটিরও বেশি তীব্রতায় পৃথিবী ১৫০ বারের বেশি কেঁপেছে। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ায় অনেক সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। এ কারণেও বিপদ থেকে যায়।
No comments:
Post a Comment