স্কুল বন্ধ করে দিল ভূত! শিক্ষক ও রাঁধুনির মৃত্যুতে আতঙ্কে শিশুরা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 29 March 2023

স্কুল বন্ধ করে দিল ভূত! শিক্ষক ও রাঁধুনির মৃত্যুতে আতঙ্কে শিশুরা



স্কুলে ভূতের ভয়ের আতঙ্ক। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না।ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের ব্লক এলাকার আসানবেদিয়া পঞ্চায়েতের অধীনে একটি উন্নত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। জোর করে স্কুলের শ্রেণীকক্ষ স্কুল পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) চেয়ারম্যানের টালির ঘরে পরিচালিত হচ্ছে।  যেখানে একমাত্র শিক্ষক (সহকারী শিক্ষক) সুরেন্দ্র টুডু চাকরি করেন, তিনি চেয়ারম্যানের বাড়িতে শিশুদের পড়ান।



 মঙ্গলবার স্কুল পরিদর্শন করেন জেলা শিক্ষা সুপার দীপক রাম।  এসময় বিদ্যালয় ভবনে তালা ঝুলে থাকে।  এরপর সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সিআরপি জানান, এসএমসি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত বাড়িতে স্কুলটি পরিচালিত হচ্ছে।  তিনি স্পিকারের ব্যক্তিগত বাড়িতে অধ্যয়নরত স্কুল পড়ুয়া শিশুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।  গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেছেন যে ভূত এবং আত্মার অস্তিত্ব নেই, এটি একটি ভুল ধারণা।  এটা কাকতালীয় যে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যুর কিছুক্ষণ পরেই তার ছেলেও মারা যায়।  এছাড়া কিছু অসুস্থতার কারণে রাঁধুনি ছাটমুনি মুর্মু মারা যান।  এসব ঘটনার পরই গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠায় না।  বরং এসএমসি চেয়ারম্যানের বাড়িতে পাঠদান ও মিড-ডে মিল পরিচালিত হচ্ছে।  তিনি জানান, বুধবার থেকে বিদ্যালয় ভবনে শ্রেণীকক্ষ পরিচালনা করা হবে।



২০০২ সালে ধসানিয়া শিক্ষা অঞ্চলের অধীনে উন্নীত প্রাথমিক বিদ্যালয় ছোটুডিহ প্রতিষ্ঠিত হয়।  উক্ত বিদ্যালয়ে ৩০ জন শিশু ভর্তি রয়েছে।  একই বিদ্যালয়ের ভবনও নির্মাণ করা হয়েছে।  কিন্তু ২০১৯ সালে স্কুল শিক্ষক বাবুধন মুর্মু কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।  শিক্ষকের মৃত্যুর পর তার ছেলে ওই স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন।  কিন্তু তার ছেলেও অসুস্থ হয়ে মারা যায়।  কিছুদিন পর রাঁধুনি ছাটমুনি মুর্মু মারা যান।  এসব ঘটনার পর গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  তখন মানুষের মনে এই ভুল ধারণা তৈরি হয় যে, স্কুলে কর্মরত শিক্ষক ও রাঁধুনি মারা যায়।  বিষয়টি এখনও ঠাণ্ডা হয়নি, এদিকে স্কুলের একদিকে শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।  এসব ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসী কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার আতঙ্কে তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad