গঙ্গা ঘাটের কাছে উদ্ধার দুই নাবালকের মৃতদেহ। সোমবার রাতের এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। দুই নাবালকের মৃতদেহ কিভাবে সেখানে এলো তা রহস্যই রয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যরা খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে সাঁকরাইল থানার পাঁচপাড়া গঙ্গা ঘাটে দুই নাবালকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। দুজনের বয়স এগারো থেকে বারো বছরের মধ্যে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানার চেষ্টা করছেন শিশু দুটির দেহ সেখানে কিভাবে গেল?
রাতে মৃতদেহ দেখে ভিড় জমে গঙ্গার ঘাটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। দুই নাবালকের ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে।
জেলার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কীভাবে গঙ্গার ঘাটে দুই নাবালকের মৃতদেহ এল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুজনকেই খুন নাকি জলে ডুবিয়ে খুন করা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। ডুবে মৃত্যু, তাহলে চোখের কোণে ক্ষত কেন? যদিও স্বজনরা খুনের অভিযোগ করছেন। নিহত শিশুরা হাওড়ার সাঁকরাইলের বাদামতলা এলাকার বাসিন্দা। নিহতদের নাম মোহাম্মদ লাভিস ও মোহাম্মদ আসিফ। একজনের পরনে ছিল কালো হাফ প্যান্ট। অন্যজনের সাদা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালক দু’জনই বিকেলে খেলতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তারা প্রতিদিন বাইরে যেত। নির্দিষ্ট সময়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরত, কিন্তু সোমবার রাতে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তাদের খুঁজতে থাকে। এদিকে, রাতে পাঁচপাড়া গঙ্গা ঘাট থেকে দুই নাবালকের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাত ১০টার দিকে গঙ্গার ধারে দুজনের জামাকাপড় ও জুতা দেখা যায়। সে সময় ভাটার কারণে গঙ্গার জলের স্তর অনেক নিচে ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আশেপাশের এলাকার ছোট ছেলেরা পার্কে গেম খেলে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়েছিল। এক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিশু দুটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃত নাবালকের মার।
No comments:
Post a Comment