সরসৌলের শঙ্কর মহাদেব ওরফে করৌলি বাবা ফের শিরোনামে। নয়ডার ডক্টর সিদ্ধার্থকে মারধরের ঘটনায় ফাঁস শক্ত করে আশ্রমে বসবাসকারী বা বাইরে থেকে আসা লোকজনের ওপর কড়াকড়ি বাড়িয়েছেন এই করৌলি বাবা। আশ্রমে থাকা লোকদের বাবা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন ভিতরের খবর যেন বাইরে না যায়। সেই সঙ্গে দূরদূরান্ত থেকে এই আশ্রমে আসা ভক্তদেরও আশ্রমের বাইরে না থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি গ্রামটি অভিশপ্ত বলে স্থানীয় লোকজনকে ভয় দেখানোর জন্য গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এই গুজবের সাথে, করৌলি শঙ্কর ওরফে সন্তোষ ভাদৌরিয়া গ্রামকে শুদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে ৫ এপ্রিল থেকে তিন দিনের বিশেষ হবনের ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি তিনি আশ্রমে বসবাসকারী লোকজনকে গ্রামের লোকজন থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি আশ্রমে আগত ভক্তদের গ্রামের লোকজন থেকে দূরে থাকতে, আশ্রমের বাইরের কোনও ধর্মশালায় না থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেছেন, অবহেলা করলে তিনি অসৎ হতে পারেন। মনে করা হচ্ছে ডক্টর সিদ্ধার্থের সঙ্গে ঝগড়ার পর পুলিশ সন্তোষ ভাদোরিয়ার বিরুদ্ধে ফাঁস শক্ত করছে। প্রতিনিয়ত বেরিয়ে আসছে আশ্রমের অন্দরে তাণ্ডবের খবর। এ কারণে সন্তোষ ভাদোরিয়ার সমস্যা বেড়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য, তিনি আশ্রমে বসবাসকারীদের জন্য অত্যন্ত কড়া নিয়ম-কানুন তৈরি করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভিতরের কোনও মানুষ বাইরে থেকে কারও সাথে কথা বলবে না।
এমনকি তার পরিবারের লোকজনকেও ভেতরের কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। আশ্রমে আসা ভক্তরা প্রচুর আয় করছেন। সন্তোষ ভাদৌরিয়া শুধু নয়ডা, কানপুরেই নয়, কাছাকাছি বিধানু পিপল গ্রাম এবং ফতেহপুর ইত্যাদিতেও সম্পত্তি কেনার জন্য এই অর্থ বিনিয়োগ করছেন। এখানে তিনি তার আস্থাভাজনদের নামে সম্পত্তি কিনেছেন। বাবার দাবী, আশ্রমে ভক্তরা অবাধে দান করেন। বিনিময়ে তাদের আরাম-আয়েশ ও সুবিধার যত্ন নেওয়া হয় আশ্রমের পক্ষ থেকে। এর সঙ্গে আশ্রমে অলৌকিক ঘটনার কথা নাকচ করে দিয়েছেন বাবা। কথিত আছে এখানে ভূত-প্রেত দ্বারা মানুষের রোগের চিকিৎসা করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বাবা সন্তোষ ভাদৌরিয়া কৃষকের কাছ থেকে আশ্রম সংলগ্ন দেড় বিঘা জমি কেনার চেষ্টা করলেও কৃষক বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানালে জোরপূর্বক জমিটি দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে আশ্রমের বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি করা ছাড়াও কানপুর থানায় অভিযোগও দিয়েছেন ওই কৃষক। এই ঘটনার পর থেকে বাবা গ্রামের লোকজনের প্রতি ক্ষুব্ধ এবং গ্রামটি অভিশপ্ত বলে গুজব ছড়ায়।
No comments:
Post a Comment