এবার ২০২৩ সালে, চৈত্র নবরাত্রি ৩০ মার্চ শেষ হবে। নবরাত্রিতে প্রতিদিন মায়ের বিভিন্ন রূপের পূজা করা হয়। নবরাত্রির সপ্তমী, অষ্টমী বা নবমীর পূজার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এদিনের পুজো হয় পূর্ণ আচারের সঙ্গে। নবমীকে হবনের পাশাপাশি পূজার সমাপ্তি বলে মনে করা হয়। নবরাত্রিতে হবন করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হবনের পরেই আপনার নবরাত্রির পূজা সম্পন্ন হয়। হবনে প্রসন্ন হয়ে মা দুর্গা আপনার সকল ইচ্ছা পূরণ করেন। তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে ঘরে বসে সহজ উপায়ে হবন করতে পারেন।
বাড়িতে পূজার জন্য হবন উপায়
- হবন সামগ্রীতে ধূপ, যব, নারকেল, গুগুল, মাখন, কাজু, কিসমিস, খেজুর, চিনাবাদাম, বেলপাত্র, মধু, ঘি, সুগন্ধি, অক্ষত নিন।
এসব মিলিয়ে ভবিষ্যৎ তৈরি করুন। হবনের সময় যে দ্রব্য আগুনে দেওয়া হয় তাকে হবিষ্য বলে।
এরপর হবনকুণ্ডের আগুনে মন্ত্র সহকারে ফল, মধু, ঘি, কাঠ ইত্যাদি নিবেদন করুন।
তুলা, আম কাঠ, চন্দন, কর্পূর এবং ম্যাচবাক্স ব্যবহার করুন হবনে আগুন জ্বালানোর জন্য।
সম্পদের জন্য
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, জীবনে যদি আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় বা কঠোর পরিশ্রম করেও ফল না পাওয়া যায়, তাহলে নবমীর দিন হবনে গুল্ম কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালানো উচিৎ । এই আগুনে দুধ, চাল ও চিনি দিয়ে তৈরি খীর ২৭ বার নিবেদন করতে হবে।
ঘরে শান্তির জন্য
বাড়িতে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে নবমীর দিন বাড়ির মালিককে সকালে আম কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালাতে হবে। হবন সামগ্রীতে সমপরিমাণ গুগুল ধুপ মিশিয়ে আগুনে ২৭ বার নিবেদন করতে হবে।
বিয়ের জন্য
যদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো বাধা আসে বা বিয়েতে কোনো বাধা আসে তাহলে নবমীর দিন (বৃহস্পতিবার) পিপল কাঠ পুড়িয়ে তাতে আপনার বয়সের সমান হলুদ সরিষা দিন।
এই মন্ত্রগুলি জপ করুন
হবন শুরু করার জন্য প্রথমে অগ্নিকুণ্ডে ওম অগ্নেয় নমঃ স্বাহা বলে অর্ঘ্য নিবেদন করুন। ওম গণেশায় নমঃ স্বাহা। নামে বলিদান। এরপর নয়টি গ্রহের সমস্ত দেবতার নাম বলি। এর পর পারিবারিক দেবতা ও স্থানীয় দেবতাকে অর্পণ করা হয়। এবার বলি মা দুর্গার সব নাম নিয়ে। যেন ওম দুর্গায় নমঃ স্বাহা। ওম গৌরিয়া নমঃ স্বাহা। এর পরে সপ্তশতী বা নির্বাণ মন্ত্র জপ করুন।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য প্রচলিত বিশ্বাস ও মান্যতার ওপর ভিত্তি করে লেখা। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment