ঋণের গভীরে পাকিস্তানের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। পাকিস্তানের মানুষ প্রতিটি টাকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আকাশছোঁয়া মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণ রাস্তায় না আসায় সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে আটা বিতরণের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে, আটা বিতরণকারী ট্রাকে লোকজন হামলা চালাচ্ছে। পেশোয়ারের হাজার খাওয়ানি এলাকায়, নাগরিকরা বিনামূল্যে সরকারি আটার ট্রাকে হামলা চালায়,অসহায় পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনও। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া সরকার বিনামূল্যে আটা বিতরণের জন্য পেশোয়ারে বেশ কয়েকটি ট্রাক বরাদ্দ দিলেও জনগণের মধ্যে পদপিষ্ট ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হাজর খাওয়ানি পার্ক এবং হায়াতাবাদ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আটা বিতরণের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করা হয়েছিল, কিন্তু মানুষের ভিড়ের কারণে সিস্টেমটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এই বিষয়ে, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্য সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী নতুন আটা বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন কিন্তু সেখানেও পরিস্থিতি একই রকম ছিল।
পাকিস্তান সরকার বর্তমানে এক বিশাল অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন। আইএমএফ থেকে ঋণ এখনও পায়নি। অন্যদিকে শাহবাজ শরীফের সরকার জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতিও মানুষের পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছে। রেশন থেকে শুরু করে ফলমূলের দামও আকাশ ছোঁয়া। পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫০ বছরের সর্বোচ্চ ৩১.৫ শতাংশে পৌঁছে গেছে।
রমজানে মূল্যস্ফীতির অবস্থা এমন যে, সবকিছুই দামি হয়ে গেছে। করাচির স্থানীয় ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইসহাক আরব নিউজকে বলেন, “সবকিছুর দাম বেড়েছে এবং খেজুরের দামও বেড়েছে। একই সঙ্গে কলার দাম ডজনপ্রতি ৫০০ টাকায় পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া আঙুর ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০০ টাকায়।
দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালের তুলনায় ফল বিক্রি কমেছে। বিক্রেতারা এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে আমদানি বিধিনিষেধ এবং স্থানীয় ফসল ধ্বংসকে উল্লেখ করেছেন। গত বছর জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল, যাতে পাকিস্তানের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment