বাম আমল থেকেই রাজ্যের রাজনীতিতে বারবার আলোচিত নন্দীগ্রাম। ২০২১ সালে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ের কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। এরপর থেকে রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে নন্দীগ্রাম অনেকবারই শিরোনামে এসেছে। শুক্রবার ওই নন্দীগ্রামে প্যারাসুট ও স্পাই ক্যামেরার সন্ধান পাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের এক নম্বর ব্লকের সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোয়ালপাড়ায়। প্যারাসুটের যন্ত্রাংশ ও সার্কিট বোর্ডের পাশাপাশি স্পাই ক্যামেরার সন্ধান পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা মাঠে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খামার থেকে এগুলো সংগ্রহ করে সোনাচূড়া বাজারে নিয়ে আসেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। পরে নন্দীগ্রাম থানায় খবর দিলে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্যারাসুট কোথা থেকে এসেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় লোকজনও অবাক যে প্যারাসুট ও স্পাই ক্যামেরা সেখানে পৌঁছল কী করে? পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনাচূড়া পঞ্চায়েত এলাকার মাঠ থেকে উদ্ধার হওয়া প্যারাসুটের কাপড়ের রং সাদা। সার্কিটও উদ্ধার করেছে। সেখানে স্পাই ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলেও জানা গেছে। প্যারাসুট দেখতে এলাকার বাসিন্দাদের ভিড় জমে যায়। সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীকৃষ্ণ প্রধান এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের সোনাচুদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি মাঠে রাতে একটি প্যারাসুট পাওয়া যায়। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।”
ওই এলাকায় রাতের আঁধারে প্যারাসুট পাওয়া যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এ ঘটনার তদন্ত দাবী করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব বারুই বলেন, “এর আগে মহিষাদল গ্রাউন্ড থেকে একটি রিমোট কন্ট্রোল হেলিকপ্টার উদ্ধার করা হয়েছিল। শুনেছি সোনাচূড়ায় প্যারাসুট আর স্পাই ক্যামেরা পাওয়া গেছে। কেন আবার এমন ঘটনা ঘটছে প্রশাসনের তদন্ত করা উচিৎ।” এই প্যারাসুট পাওয়ার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। তবে নন্দীগ্রাম থানার ওসি সুমন রায়চৌধুরী বলেন, বস্তুটি প্যারাসুট বা স্পাইক্যাম নয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রায়ই এমন বেলুন ওড়ালেও বাতাসের অভাবে তা পড়ে গেছে।
No comments:
Post a Comment